Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 5:54 pm

ভেনেজুয়েলায় বন্ধ হলো ডয়চে ভেলে

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর দায়ে ডয়চে ভেলের (ডিডব্লিউ) সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দুর্নীতি নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কারণে রুষ্ট হয়ে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন।

লাতিন আমেরিকায় রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ভেনেজুয়েলায় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সংগঠিত অপরাধ চক্রের যোগসাজশ নিয়ে একাধিক ভাষায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল ডয়েচে ভেলে। এজন্য গত সোমবার দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ডিডব্লিউকে ‘নাৎসি’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে তিরস্কার করে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেন। সেই তালিকায় তিনি সিএনএন ও এর স্প্যানিশ ভাষার শাখা এবং অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকেও (এপি) অন্তর্ভুক্ত করেছেন।

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সংস্থাকে মাদুরো বলেন, অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠানের মতো জার্মানির ‘নাৎসি’ মিডিয়া ডয়চে ভেলেও বিশ্বের সব অপরাধের জন্য ভেনিজুয়েলার মানুষকে দায়ী করছে। তার মতে, ভেনেজুয়েলা ও ব্যক্তিগতভাবে তার ভাবমূর্তির ক্ষতি করাই এর লক্ষ্য।

উল্লেখ্য, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ডিডব্লিউর এক বার্তায় ভিডিওর কিছু অংশ শেয়ার করে মন্তব্য করা হয়েছিল, দুর্নীতির ক্ষেত্রে মাদুরোর নিজের ভূমিকা স্পষ্ট নয়।

প্রসঙ্গত, লাতিন আমেরিকার তরুণ প্রজন্মের জন্য ইউটিউব স্টাইলের ভিডিও ফরম্যাট চালু করে ডয়চে ভেলে প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরছে।

মাদুরোর অভিযোগের পর ভেনেজুয়েলায় ডয়চে ভেলের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। গণমাধ্যমটির মহাপরিচালক অবিলম্বে ভেনেজুয়েলার উদ্দেশে ডিডব্লিউর স্প্যানিশ ভাষার চ্যানেলের সম্প্রচার আবার চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভেনেজুয়েলার মানুষকে স্বাধীনভাবে নিরপেক্ষ তথ্য সন্ধানের অধিকার থেকে গুরুতরভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে।

তার মতে, মাদুরোর শাসনকালে লাখ লাখ মানুষ ভেনেজুয়েলা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। সে দেশে গণমাধ্যমের মৌলিক স্বাধীনতা নেই। তাই তথ্যনির্ভর সমালোচনার প্রতিক্রিয়া হিসেবে মাদুরোর অযৌক্তিক তুলনা অপ্রত্যাশিত নয়।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছরে দারিদ্র্য ও সহিংসতার কারণে ৭০ লাখের বেশি মানুষ ভেনেজুয়েলা ছেড়েছেন।