প্রতিনিধি, রাজবাড়ী: দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে দুর্ভোগ কমছে না। ঈদ শেষে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্নস্থানে কর্মস্থলে যাওয়া যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বেড়েই চলছে।
বেলা যত বাড়ছে, দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় যাত্রী ও যানবাহনের চাপও ততই বাড়ছে। ফলে ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের।
আজ সোমবার (৯ মে) দুপুরে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পদ্মার মোড় পর্যন্ত প্রায় ৬কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী ট্রাক ফেরিপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
অন্যদিকে ঢাকা খুলনা মহাসড়ক সচল রাখার জন্য বেশ কিছু যানবাহন গোয়ালন্দ মোড়ে আটকে দিচ্ছেন পুলিশ সদসরা।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা ব্যক্তিগত গাড়ীগুলো সরাসরি ফেরিতে যেতে পারছেন। যাত্রীবাহী বাসগুলোকে ফেরিপারের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
বাসযাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, আজ দুপুর পর্যন্ত ফেরিঘাটে চরম ভোগান্তি রয়েছে। আমাদের ফেরিপারের জন্য ৫ থেকে ৬ঘন্টা পর্যন্ত অপেক্ষায় থেকে ফেরিতে উঠতে হচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরেই ভোগান্তি রয়েছে দৌলতদিয়ায়।
ট্রাক চালকেরা অভিযোগ করে বলেন, দৌলতদিয়া প্রান্তে ২ থেকে ৩দিন পর্যন্ত ফেরিপারের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। যমুনা সেতু হয়ে যেতে গেলেও একই সময় লাগে। তাই ভোগান্তি মেনে নিয়েই আমরা ফেরিঘাট পার হচ্ছি।
রাজবাড়ীর ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর তারক চন্দ্র পাল বলেন, দৌলতদিয়া প্রান্ত দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। ব্যক্তিগত গাড়ীগুলো সরাসরি ফেরিতে যেতে পারছে। বাসযাত্রীদের ভোগান্তি কিছুটা হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. শিহাব উদ্দীন বলেন, ঈদের আগে ও পরে গতকাল রোববার পর্যন্ত ২১টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হয়েছে। হঠাৎ করে একটি ফেরিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। বর্তমানে এরুটে ২০টি ফেরি চলাচল করছে।