নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হতে হবে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে হয়রানি বা জরিমানা আদায়ের জন্য তৈরি হয়নি। আমরা চাই, যাতে কারও প্রতি এ আইনের প্রয়োগ করতে না হয়। কোনো ভোক্তা অধিকার বঞ্চিত হয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভোক্তা বাতায়ন হটলাইন ১৬১২১ নম্বরে ফোন করলেই প্রতিকার পাওয়া যাবে।
বাণিজ্যমন্ত্রী গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস-২০২০ উপলক্ষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভা ও হটলাইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে গেছেন। দেশের অনেক মানুষের ভোক্তা অধিকার বিষয়ে ধারণা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন পাস করে ভোক্তার অধিকার সুরক্ষিত করেছেন। এখন যে কোনো ভোক্তা অধিকারবঞ্চিত হলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সরকার ভোক্তা ও বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। কাউকে হয়রানি না করে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সে লক্ষ্য সামনে রেখে সরকার কাজ করছে। অধিকার নিয়ে মানুষ এখন অনেক সচেতন। ভোক্তাও আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি সচেতন। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের সুফল পেতে শুরু করেছে দেশের মানুষ।
বাণিজ্যমন্ত্রী অনুষ্ঠানে ভোক্তা বাতায়ন হটলাইনে ফোন করে এর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। কোনো ভোক্তা অধিকারবঞ্চিত হলে এ হটলাইনে ফোন করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআই’র সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বাবলু কুমার সাহা।