Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 4:04 pm

ভোজ্যতেলের দাম কমার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্ব বাজারে মূল্য হ্রাসের প্রেক্ষাপটে দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমার ‘সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে’ বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

আগামী সপ্তাহে ভোজ্যতেলের মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘পর্যালোচনায় বাড়ার সম্ভাবনা কম, তবে মূল্য কিছুটা কমতে পারে।’

আমদানি থাকলেও খুচরা বাজারে সরবরাহ সংকটের মধ্যে গত ৫ মে সয়াবিন তেলের দাম এক লাফে ৪০ টাকা বাড়িয়ে দেন মিল মালিকরা। ফলে সর্বশেষ নির্ধারিত দর অনুযায়ী, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটারে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।

প্রতি লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের দাম ১৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে সে সময় ১৯৮ টাকা করা হয়। ৫ লিটারের বোতলের দাম নির্ধারণ করা হয় ৯৮৫ টাকা। আর পরিশোধিত পাম সুপার তেলের প্রতি লিটারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ঠিক করে দেয়া হয় ১৭২ টাকা, যা আগে ছিল ১৩০ টাকা।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৫ থেকে ৬ দিনের মধ্যে আমরা ভোজ্যতেলের মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনায় বসব। আমাদের কাছে খবর আছে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমতির দিকে। পাম অয়েলের দাম ইতোমধ্যে কমেছে। সয়াবিন তেলের দাম কমতির দিকে।’

এবারের মূল্য নির্ধারণ গত মাসের দামের ওপর ভিত্তি করে হবে জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, ‘আজকেও আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কিছুটা কমেছে। তবে এর প্রভাব পড়বে এক মাস পর। এখন আমরা যে দামটা নির্ধারণ করব সেটা মে মাসের ল্যান্ডিং কস্টের ওপর ভিত্তি করে হবে।’

টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রির যে সিদ্ধান্ত সরকার নিয়েছে, তা ১৫ জুন থেকে শুরু হতে পারে বলে জানান মন্ত্রী। কভিড মহামারির মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সয়াবিনসহ ভোজ্য তেলের দর বিশ্ববাজারে চড়তে থাকায় দেশের বাজারেও দাম বাড়ানোর পক্ষে কথা বলে আসছিলেন ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে রোজার ঈদের আগে হঠাৎ খুচরা বাজার থেকে সয়াবিন তেল উধাও হয়ে যায়, যদিও আমদানিতে কোনো সংকট ছিল না। দাম বাড়ানোর জন্য ডিলার ও পাইকারি বিক্রেতারা তেলের মজুত শুরু করেছিলেন সে সময়। ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানেও বিষয়টি ধরা পড়ে।