নিজস্ব প্রতিবেদক: আপাতত ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) এ এইচ এম শফিকুজ্জামান। গতকাল অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের (চিনি ও ভোজ্যতেল) মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি সংশোধন ও ব্যয় বিবরণী হালনাগাদকরণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) এ এইচ এম শফিকুজ্জামান। সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। এর আগে আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। সেই সঙ্গে পাম তেলের দামও বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে তেলের দাম বাড়ানোর এ প্রস্তাব দিয়ে ৮ জানুয়ারি থেকে দাম বাড়ানোর কথা জানানো হয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ট্যারিফ কমিশনে পাঠায়। তাই গতকাল রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকে বসে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য (চিনি ও ভোজ্যতেল) বিদ্যমান মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি সংশোধন ও ব্যয় বিবরণী হালনাগাদকরণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটি।
সভা শেষে অতিরিক্ত সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে দেশের বাজারে রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশন ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর আবেদন করেছে। তবে সরকার এখনও ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি। যাচাই-বাছাই করে এ ব্যাপারে পরে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ পদ্ধতি রিভিউ করছি। আগামী মঙ্গলবার কমিটির সদস্যরা রিফাইনারি বড় কোম্পানিগুলোর কারখানা পরিদর্শনে যাবে। সেখানে তারা আমদানি মূল্য, প্যাকেজিং খরচসহ অন্যান্য খরচ পর্যালোচনা করবে। এরপর আমরা দাম নির্ধারণ পদ্ধতি ঠিক করব। তারপর আমরা বসে তেলের দাম ঠিক করব।
দাম কত বাড়তে পারেÑএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দাম বাড়বে তো পরে, আগে আমাদের মূল্য নির্ধারণী পদ্ধতি ঠিক করতে হবে। তারপর দাম কমানো, বাড়ানোর বিষয়। মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতিটা ১০ বছর আগের করা। সেটা রিভিউ করব। আগামী মঙ্গলবার কারখানা পরিদর্শন করে গবেষণা করে আমরা আবার বসব।’
রিফাইনারি অ্যাসোসিয়েশনের কোনো ডিমান্ড আছে কিÑএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাদের তো দাম বৃদ্ধির চাহিদা আছেই। আগেই তারা আবেদন করেছে। আমরা এখন বসে সরকারের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেব। আন্তর্জাতিক বাজারে তো তেলের দাম অনেক কমে গেছে। এ অবস্থায় দেশে দাম বৃদ্ধির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমেছে ঠিক, কিন্তু তার প্রভাব পড়তে সময় লাগবে। আমরা দুই-আড়াই মাস দেখি। আমরা আগে মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি ঠিক করি, তারপর দাম বৃদ্ধির বিষয়। যখন আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক কমে যায়, তখন আমরাও দাম সমন্বয় করে থাকি। এর আগেও আমরা দাম কমিয়েছি।’