ভোট থেকে সরলেন সেতুমন্ত্রীর ভাই

নিজস্ব প্রতিবেদক: কেন্দ্র দখল ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহাদাত হোসেন।

গতকাল বুধবার ভোট চলাকালে দুপুর ১২টায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী শাহাদাত হোসেন ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শাহাদাতের পাশাপাশি এদিন একই উপজেলার আরেক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলও (দোয়াত-কলম প্রতীক) ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

দুই প্রার্থীর অভিযোগ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে তার ছেলে ও ভাগনেরা কেন্দ্র দখলে নিয়ে ব্যালটে সিল মারছেন।

মেয়র আবদুল কাদের মির্জাও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। তিনি চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের প্রার্থী ব্যবসায়ী গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুলকে সমর্থন দিয়েছেন।

টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে আমার সব এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে আনারসে সিল মারা হচ্ছে। আমার ২০ কর্মীকে আহত করেছে মেয়রের হাতুড়ি বাহিনী। পুলিশ তাদের অনৈতিকভাবে সহযোগিতা করছে। আমি এ ভোট বর্জন করে বাতিলের দাবি করছি।’

অপর চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মিজানুর রহমান বাদল বলেন, ‘কোনো কেন্দ্রে আমার এজেন্টদের ঢুকতে দেননি কাদের মির্জার লোকজন। তারা ভোটারদের বাধা দিয়ে কেন্দ্রে আসতে দিচ্ছে না। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এলাকায় এমন ভোট কারও কাম্য নয়। আমরা প্রহসনের এ নির্বাচন বাতিল চাই। এখানে প্রশাসন নিরপেক্ষ নয়। পুলিশ আনারসের পক্ষে সিল মারতে সহযোগিতা করছে। বিষয়টি আমরা জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে জানিয়েছি।’

মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ছেলে মির্জা মাশরুর কাদের তাশিক বলেন, ‘নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশকে অশান্ত করতে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। বরং দোয়াত-কলমের লোকজন হামলা চালিয়ে আনারসের কর্মী চর-এলাহী ইউনিয়নের রাজ্জাক চেয়ারম্যানের ভাই আবদুল আজিজ খোকনসহ সাতজনকে কুপিয়ে জখম করেছে।’

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, কোম্পানীগঞ্জে ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে। যদি কেউ সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ করেন, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ডিসি দেওয়ান মাহবুবুর রহমান জানান, কেউ অভিযোগ দিতেই পারেন। নির্বাচনে পরিবেশ যা থাকার তা-ই আছে। কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম হলে তা বন্ধ করে দেয়া হবে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০