শেয়ার বিজ ডেস্ক: সিলেটের ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ফের পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। প্রায় এক বছর বন্ধ থাকার পর গত মঙ্গলবার থেকে পুনরায় পাথর আমদানি শুরু হওয়ায় কর্মচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে এ স্থলবন্দরে। বিশেষ করে শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মাঝে ফিরেছে স্বস্তি। তবে এখন শুধু পাথর আমদানি হলেও ক’দিনের মধ্যেই শুরু হবে চুনাপাথর আমদানি কার্যক্রম। খবর বাসস।
ভারতে খনি থেকে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে পাথর ও চুনাপাথর উত্তোলন করায় পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছেÑএমন অভিযোগে দেশটির আদালত পাথর ও চুনাপাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে ২০১৬ সালের ৫ নভেম্বর থেকে এ স্থলবন্দর দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে সমস্যায় পড়েন পাথর আমদানিকারকরা। তাদের বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ আটকা পড়ে সীমান্তের ওপারে। তাছাড়া পাথর আমদানি কাজে সম্পৃক্ত হাজার হাজার শ্রমিকও বেকার হয়ে পড়েন। ফলে স্থবির হয়ে পড়ে শুল্কবন্দরটি।
এদিকে ভারত থেকে পাথর ও চুনাপাথর পুনরায় আমদানি-রফতানি শুরু করতে দুই দেশের ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জোর প্রচেষ্টা চালায়। দফায় দফায় বৈঠক হয় তাদের মধ্যে। সর্বশেষ মঙ্গলবার ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রæপ ও ভারতের মাঝাই এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে এ ব্যাপারে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের কিছু সময় পরই শুরু হয় বাংলাদেশে পাথর আমদানি। ফলে অবসান ঘটে সব জটিলতার।
পুনরায় পাথর আমদানি শুরু হওয়ায় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। আর দেশও রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তবে বন্দর দিয়ে পুনরায় পাথর আমদানি শুরু হওয়ায় তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
ভোলাগঞ্জ চুনাপাথর আমদানিকারক গ্রæপের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান মিন্টু জানান, দীর্ঘদিন ভারত থেকে পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছিল। তবে মঙ্গলবার থেকে পুনরায় পাথর আমদানি শুরু হওয়ায় কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে পুরো শুল্কবন্দর। মিন্টু বলেন, এখন শুধু পাথর আমদানি হলেও ৩ অক্টোবর থেকে চুনাপাথরও আমদানি শুরু হবে।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের কমিশনার শফিকুল ইসলাম জানান, সব জটিলতার অবসান ঘটিয়ে ভোলাগঞ্জ স্থলবন্দর দিয়ে মঙ্গলবার থেকে পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। ওই দিন পাথর নিয়ে ১০টি ট্রাক ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।
Add Comment