নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন মূসক আইন বাস্তবায়নে একের পর এক অভিনব উদ্যোগ নিচ্ছে যশোর কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। প্রথমবার ভ্যাট মেলা করা হয়। এতে করদাতারা ব্যাপক সাড়া দেন। এরপর করা হয় বিভাগীয় ভ্যাট মেলা। তাতেও সাড়া পড়ে। ভ্যাটনেট বৃদ্ধির মাধ্যমে করদাতা শনাক্তে এবার করদাতা জরিপের মতো অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে কমিশনারেট। জরিপের মাধ্যমে ৫ হাজার নতুন ভ্যাটদাতা শনাক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এরই মধ্যে জরিপ শুরু হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে এ জরিপ শেষ হবে।

যশোর ভ্যাট কমিশনারেট সূত্র জানায়, নতুন আইন বাস্তবায়নে এ কমিশনারেট অর্থবছরের প্রথম থেকে বেশ কিছু উদ্যোগ নেয়। এর মধ্যে রয়েছে ভ্যাট মেলার আয়োজন। মেলায় অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন, রিটার্ন দাখিল আর ট্যাক্সপেয়ার লার্নিংয়ে তিন সেবা দেওয়া হয়। এতে করদাতারা বেশ সাড়া দেন। এ কমিশনারেটের আওতাধীন ১০টি বিভাগীয় কার্যালয় রয়েছে। করদাতারা প্রতিটি বিভাগীয় কার্যালয়ে ভ্যাট মেলার আয়োজনের অনুরোধ জানান।
আরো পড়ুন- শীর্ষে যশোর ভ্যাট কমিশনারেট পিছিয়ে এলটিইউ [1]
আরো পড়ুন- তিন সেবা নিয়ে যশোরে ভ্যাটমেলা [2]
আরো পড়ুন- ২০১৮-১৯ অর্থবছর : ভ্যাট আহরণে শীর্ষে উত্তর কমিশনারেট, প্রবৃদ্ধিতে যশোর [3]
আরো পড়ুন- ভারগন টোব্যাকোর বিরুদ্ধে যশোরে মামলা [4]
আরো পড়ুন- বেনাপোলে দুদিনের ভ্যাটমেলা [5]
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিভাগীয় কার্যালয়ে মেলা করা হয়। মূলত করদাতাদের অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিল বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দিতেই এ মেলার আয়োজন করা হয়। এছাড়া নতুন আইন-সংক্রান্ত সব সেবা দেওয়া হয়। এতে নতুন করদাতা বাড়তে থাকে। এ কমিশনারেটের এসব উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সব কমিশনারেটকে এমন উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

সূত্র আরও জানায়, নতুন ভ্যাটদাতা চিহ্নিত করতে এবার জরিপের মতো উদ্যোগ নেয় এ কমিশনারেট। নতুন মূসক আইনের আওতায় যশোর ভ্যাট কমিশনারেট সদর দপ্তর থেকে এ জরিপ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে ৫ হাজার নতুন ভ্যাটদাতা নিবন্ধন করা হবে এবং তাদের কাছ থেকে করসহ দাখিলপত্র গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। করদাতা শনাক্তে এরই মধ্যে ভ্যাট কর্মকর্তারা জেলার বিভিন্ন শপিংমল ও বাজারে যাচ্ছেন।

যারা নিবন্ধিত হননি, তাদের একটি লিফলেট প্রদানসহ মটিভেট করছেন। ভ্যাট কর্মকর্তারা ব্যবসায়ীদের ভ্যাট বিষয়ে ধারণা দিচ্ছেন। ভ্যাটযোগ্য হলে তাদের নিবন্ধন করা ও রিটার্ন দাখিলে উদ্বুদ্ধ করছেন। এছাড়া নিবন্ধন না নেওয়া ও রিটার্ন দাখিল না করে ব্যবসা করলে কী কী শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে, তা জানানোর চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে যশোর ভ্যাট কমিশনার মো. জাকির হোসেন শেয়ার বিজকে বলেন, ‘আমরা প্রতিটি কাজ শুরুর আগে যথাযথ প্রস্তুতি নিই। এ কাজের জন্য লিফলেট, টিম ও ভেস্ট তৈরি করেছি। টিমকে প্রশিক্ষণ প্রদান করেছি। প্রথমে কমিশনারেটের টিম কাজ শুরু করেছে। তাদের সঙ্গে বিভাগ ও সার্কেল হতে পর্যায়ক্রমিকভাবে কর্মকর্তা থাকেন। কমিশনারেট অপারেশনের সঙ্গে থেকে বিভাগ ও সার্কেলের সব কর্মকর্তার প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করা হয়। তারপর বিভাগ ও সার্কেল হতে অনুরূপ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এতে বিষয়টি সম্পর্কে সব কর্মকর্তার জ্ঞান সমপর্যায়ে থাকে।’

তিনি বলেন, ‘লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করা হবে। একই সঙ্গে কেউ খারাপ কিছু করলে শাস্তির আওতায় আনা হবে। কোনো ব্যবসায়ীকে যেমন অন্যায় করলে ছাড় দেওয়া হয় না, তেমনি কোনো কর্মকর্তা খারাপ কিছু করলে সমানভাবে শাস্তির আওতায় আনা হবে।’