ভ্যাট আহরণে ‘মনিটরিং’ হবে রেস্টুরেন্ট-দোকানপাট-শপিংমল

নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনা সংক্রমণ রোধে বন্ধ রয়েছে রেস্টুরেন্ট, দোকানপাট ও অভিজাত শপিংমল। রেস্টুরেন্ট, দোকানপাট, শপিংমলের বিকিকিনি থেকে ভালো ভ্যাট আহরিত হয়। কিন্তু বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা যেমন লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন। তেমনি সরকার ভ্যাট থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ঈদকে সামনে রেখে ১০ মে থেকে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। সোমবার (৪ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। তবে সংক্রমণ রোধে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়। এর আগে রেস্টুরেন্ট খোলার অনুমতি দেয় সরকার।

অপরদিকে, প্রায় দেড় মাস পর খুলছে রেস্টুরেন্ট, দোকানপাট ও শপিংমল। ভ্যাট আহরণে রেস্টুরেন্ট, দোকানপাট ও শপিংমল মনিটরিং ও যথাযথ ভ্যাট আদায় করতে ভ্যাট কমিশনারদের নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

মঙ্গলবার (৫ মে) এনবিআর সদস্য মো. জামাল হোসেন (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) সই করা নির্দেশনা জারি করা হয়। তবে মনিটরিং যতটা সম্ভব টেলিফোন, খুদে বার্তা, ই-মেইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে করতে বলা হয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়, ইতোমধ্যে সরকার স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন সাপেক্ষে রেস্টুরেন্ট খোলার অনুমতি দিয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বেশ কিছু রেস্টুরেন্ট খুলেছে। একইভাবে সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষে সরকার দোকানপাটও খোলার অনুমতি দিয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু বড় বড় শপিংমল ও দোকানপাট খুলেছে।

আরো পড়ুন-সব শুল্ক ও ভ্যাট কার্যালয় খোলা রাখার নির্দেশ

কমিশনারদের উদ্দেশ্য করে নির্দেশনায় বলা হয়, ভ্যাট কমিশনারেটের অধিক্ষেত্রের রেস্টুরেন্ট ও দোকানপাটের উপর মনিটরিং বজায় রাখা এবং যথাযথ ভ্যাট আহরণে সক্রিয় থাকতে হবে। এই মনিটরিং যতটা সম্ভব টেলিফোন, খুদে বার্তা, ই-মেইল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে করতে হবে।

স্বশরীরে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হলে প্রয়োজনীয় সর্তকর্তা অবলম্বন ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে। এছাড়া যেকোন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি পরিপূর্ণ অনুসরণ করতে নির্দেশ প্রদান করা হল। তবে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে করদাতাদের সাথে আচরণ করতে অনুরোধ করা হয়।

রোজার ঈদ সামনে রেখে আগামী ১০ মে থেকে দোকান-পাট ও শপিং মল খোলার অনুমতি দেয় সরকার। বেশ কয়েকটি শর্ত মেনে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সারা দেশের শপিং মলগুলো খোলা রাখা যাবে জানিয়ে জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা সেবা বিভাগ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং সব বিভাগীয় কমিশনার এবং জেলা প্রশাসকদের সোমবার নির্দেশনা পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম-সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, আগের আদেশে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শপিংমল খোলা রাখার কথা বলা হলেও সেটা বিকাল ৪টা পর্যন্ত করা হয়েছে। সারা দেশে হাট-বাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিং মলগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টার মধ্যে সীমিত পরিসরে খোলা রাখা যাবে বলে জানান তিনি। শর্তের মধ্যে রয়েছে-

## বড় শপিং মলের প্রবেশমুখে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থা ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

## শপিং মলে আসা যানবাহনকে অবশ্যই জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

## বেচাকেনার সময় ক্রেতা-বিক্রেতাদের পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

## দোকানপাট এবং শপিং মল বিকাল ৪টার মধ্যে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষাপটে সরকার প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব অফিস আদালত বন্ধ ঘোষণা করে। সেই সঙ্গে সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়, শপিং মলও বন্ধ রাখতে বলা হয়। সেই ছুটির মেয়াদ ইতোমধ্যে ১৬ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছে সরকার।

###

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০