ভ্যাট পশ্চিমের পাঁচ মাসের প্রবৃদ্ধি ২১ শতাংশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের সুফল আসতে শুরু করেছে। কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকা (পশ্চিম) চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ২১ শতাংশ বেশি ভ্যাট আহরণ করেছে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর মেয়াদে ভ্যাট আহরণ হয়েছে ৯৪৪ কোটি টাকা। গেল বছর একই সময় আদায় হয়েছে ৮১৭ কোটি টাকা। কমিশনারেটে বেশি আদায় হয়েছে ১২৭ কোটি টাকা ভ্যাট।  

অন্যদিকে, ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কর্তৃপক্ষ ভ্যাট আইন পরিপালেনের উপরও সমভাবে গুরুত্ব দিয়েছ। অনলাইন সেবায় প্রত্যাশা অনুসারে ফলাফলও এসেছে। কমিশনারেটের তথ্য অনুসারে ঢাকা পশ্চিম অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলে এগিয়ে আছে। ভ্যাট অনলাইনের হিসাব অনুসারে নভেম্বরে সারাদেশের অনলাইনে দাখিলকৃত সর্বমোট রিটার্নের সংখ্যা দুই হাজার ৪০৪টি। দেশের ১২টি ভ্যাট অঞ্চলের মধ্যে ঢাকা পশ্চিমের ৭৫৫টা, যা প্রায় ৩২%। অনলাইন রিটার্ন দাখিলে এই সংখ্যা এককভাবে সর্বোচ্চ। 

কমিশনারেটের তথ্য অনুযায়ী অনলাইনে  ভ্যাট রেজিস্ট্রেশনেও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সেবা ও পণ্য মিলে ১৪ হাজার ৪৫৫টি প্রতিষ্ঠান নতুন ভ্যাট আইনে ১৩ ডিজিটের নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। অনলাইনে নিবন্ধনে দ্রুত সেবা নিশ্চিতকরণসহ লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হয়েছে। কোথাও কোন অভিযোগ পেলে তা অনতিবিলম্বে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ ও রিটার্ন জমা দিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ ইতিবাচক। এতে তারা হয়রানির অভিযোগও থেকেও মুক্ত থাকতে পারছেন বলে মনে করছেন ঢাকা পশ্চিমের কমিশনার ড. মইনুল খান। ভ্যাট আইনে পরিপালনের দিকে নজর দিলে ভ্যাট আদায়ে আরো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আসবে। নতুন আইনের মূল উদ্দেশ্য অনুসারে, ভ্যাট রাজস্ব আহরণও বৃদ্ধি পাবে। 

নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের শুরুর দিকে কতিপয় চ্যালেঞ্জ থাকলেও ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট তা কাটিয়ে উঠতে নানাবিধ তত্পরতা নেয়। ফলে এই রাজস্ব আহরণের সফলতা আসতে শুরু করেছে। ঢাকা পশ্চিমের ভ্যাট কমিশনার ড. মইনুল খান আরো বলেন, অর্থবছর শেষে এই আইন বাস্তবায়নের সুফল আরো দৃশ্যমান হবে। তিনি বলেন নতুন আইনটি ব্যবসা বান্ধব করার ফলে ব্যবসায়ীরাও সুবিধা পাচ্ছেন। ভ্যাট প্রদানের অধিকতর সুবিধার্থে এবং নতুন বাণিজ্যিক বাস্তবতায় ঢাকা পশ্চিম থেকে ১৫৫টি প্রতিষ্ঠান অন্যত্র কেন্দ্রীয় নিবন্ধনের আওতায় স্থানান্তর হয়েছে। তাদের হিসাব সংরক্ষণ ও অন্যান্য সুবিধার কথা বিবেচনা করে এই স্থানান্তর ঘটেছে।

নতুন আইনেই এই সুবিধা দেয়া হয়েছে। এই স্থানান্তরের ফলে ঢাকা পশ্চিমের রাজস্ব কমে গেলেও ব্যবসায়ীদের সুবিধা হয়েছে। তবে কমে যাওয়া রাজস্ব অন্য অঞ্চলে যুক্ত হবে। কোনভাবেই ভ্যাট ফাঁকি হওয়ার সুযোগ থাকবে না। অডিট ও এনফোর্সমেন্টের মাধ্যমে কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে মর্মে ভ্যাট কমিশনার জানান। আগামি মাস থেকে ইএফডি মেশিন চালু হলে নতুন আইনে ঢাকা পশ্চিমের ভ্যাট সংগ্রহে আরো স্বচ্ছতা আসবে বলে মনে করছেন তিনি।

###

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০