নিজস্ব প্রতিবেদক: চট্টগ্রামের বিলাসবহুল রেস্তোঁরা অ্যাম্ব্রোসিয়া হোটেল লিমিটেড। আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডে অবস্থিত এ রেস্টুরেন্টের বিক্রয় তথ্য গোপন করে দেয়া ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটন করেছে মূসক নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। রেস্টুরেন্টে অভিযানের পর এ ফাঁকি উদ্ঘাটন ও মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার (১২ অক্টোবর) ভ্যাট গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ড. মইনুল খান জানান, চট্টগ্রামের অভিজাত এ রেস্তোঁরার বিরুদ্ধে প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করে দীর্ঘদিন ধরে ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পায় ভ্যাট গোয়েন্দা। এরই প্রেক্ষিতে ৭ সেপ্টেম্বর ভ্যাট গোয়েন্দার উপ পরিচালক তানভীর আহমেদ ও সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মহি উদ্দিন এর নেতৃত্বে রেস্তোঁরায় অভিযান চালানো হয়। এসময় রেস্তোঁরার বিভিন্ন কক্ষে অভিযান চালিয়ে ২০১৮ সালের জুলাই হতে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বিক্রয় ও ভ্যাট সংক্রান্ত দলিলাদি জব্দ করা হয়। এতে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটির মাসিক রিটার্নে তাদের প্রদর্শিত বিক্রয়ের সাথে ব্যাপক গরমিল পাওয়া যায়।

তিনি জানান, অনুসন্ধান অনুসারে, ২০১৮ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত রেস্টুরেন্টের প্রকৃত মোট বিক্রির পরিমাণ ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এই মূল্যের উপর ভ্যাট আরোপযোগ্য হয় ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। কিন্তু অ্যাম্ব্রোসিয়া ঐ একই সময় মাসিক রিটার্নের মাধ্যমে ভ্যাট দিয়েছে মাত্র ৪১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। পরিহারকৃত ভ্যাটের পরিমাণ ১৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। সময়মতো ভ্যাট পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুসারে ২% হারে সুদ প্রযোজ্য হবে ১৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা।

মইনুল খান জানান, করোনাকালীন চলতি বছরের মাচ থেকে জুন পর্যন্ত চার মাস রেস্টুরেন্টটি বন্ধ ছিল। এসময় তাদের জিরো রিটার্ন বিবেচনায় আনা হয়েছে। ভ্যাট গোয়েন্দা দল কর্তৃক উদ্ঘাটিত এই ফাঁকি করোনার পূর্ব সময়ের। ভ্যাট ফাঁকির কারণে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয় হিসাব ইএফডি মেশিনের মাধ্যমে সংরক্ষণ ও নজরদারি করতে কমিশনারেটকে সুপারিশ করা হয়েছে।
###