ভ্যাট ফাঁকি খুঁজতে গিয়ে বের হলো ‘শুল্ক’ ফাঁকি

নিজস্ব প্রতিবেদক: এবার ভ্যাট ফাঁকি খুঁজতে গিয়ে শুল্ককর ফাঁকির সন্ধান পেয়েছে ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। একটি ইলেক্ট্রনিক প্রতিষ্ঠানের শুল্ককর ফাঁকি উদ্ঘাটন করা হয়েছে। ভ্যাট গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানীর মিরপুরের ইলেক্ট্রনিকসের একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান করে ভ্যাট ও শুল্ক ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে।

ভ্যাট গোয়েন্দার দলটি গত ২৯ জুলাই মিরপুর ১১ সেকশনে অবস্থিত এসটিউট ইলেক্ট্রনিকসের কারখানায় গিয়ে দেখতে পান, আইসিডি কাস্টম হাউজ দিয়ে দুটো বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ইউপিএস যন্ত্রাংশ আমদানি করেছে।কিন্তু স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রযোজ্য ৫% হারে বাণিজ্যিক ভ্যাট প্রদান করেনি।

প্রযোজ্য হারে ভ্যাট প্রদান না করায় ফাঁকি হয়েছে প্রায় ১১ লাখ ৬২ হাজার টাকার ভ্যাট। প্রতিষ্ঠানটি তাদের মাসিক রিটার্নে ভ্যাট অব্যাহতি পণ্য হিসেবে অপঘোষণা দিয়েছিল।অন্যদিকে কতিপয় আমদানি মূল্যের দাম কম দেখিয়ে সরবরাহ করা হয়েছিল।

ড. মইনুল খান জানান, প্রতিষ্ঠানটির কাগজপত্র যাচাই করে দেখা যায় যে প্রতিষ্ঠানটি পণ্যগুলো ৮৫০৪৪০৯০ কোডে স্পেয়ার পার্টস হিসেবে মাত্র ১% হারে শুল্ক দিয়ে ছাড় করিয়েছে। কিন্তু সরেজমিনে পণ্যটি বিভিন্ন ক্যাপাসিটির পূর্ণাঙ্গ ইউপিএস হিসেবে পাওয়া যায়, যার কোড ৮৫০৪৪০২০।

প্রকৃত অর্থে এই প্রতিষ্ঠানে কোন মেশিনারিজ পাওয়া যায়নি, যা দিয়ে স্পেয়ার পার্টসকে পূর্ণাঙ্গ পণ্য তৈরি করা যায়। পূর্ণাঙ্গ পণ্য হিসেবে এই কোডে শুল্ক হবে ১৫%, ভ্যাট ১৫% এবং অন্যান্য করাদি।

প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুসারে, আমদানি পর্যায়ে শুল্ক ফাঁকি হয়েছে ১৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। প্রতিষ্ঠানটি দুটো আমদানি চালানে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট ও আমদানি স্টেশনে শুল্ক ফাঁকি দিয়েছে মোট ২৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা। ভ্যাট ও শুল্ক ফাঁকি দেয়ার কারণে আরো অনুসন্ধান চলছে। একইসাথে ভ্যাট ও শুল্ক আইন ভঙ্গের দায়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান মহাপরিচালক ড. মইনুল খান।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০