মাঝেমধ্যে একটু নিঃসঙ্গ সময় কাটাতে চান অনেকে। হই-হুল্লোড় পছন্দ করেন না এমন লোকের সংখ্যাও কম নয়।
নিরিবিলি পরিবেশে কক্সবাজারের সৈকতের বালিতে হেঁটে চলা কিংবা দিগন্তপানে অপলক ডুবে থাকার মধ্যেও অনেকে প্রাণ খুঁজে পান। তাছাড়া খরচের দিকটিও মাথায় রেখে বেড়ানোর জন্য উপযুক্ত সময় বেছে নেন অনেকে। এমন মানুষের জন্য বর্ষার সময়টা একদম যথাযথ। কেননা, এ মৌসুমে নিরিবিলি পরিবেশের পাশাপাশি খাবার-দাবার ও হোটেলে থাকায় ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড় পাওয়া যাবে।
বর্ষা মৌসুমে পর্যটকের সংখ্যা খুব বেশি থাকে না বললেই চলে। এ সময় মন্দাভাব বিরাজ করে আবাসিক হোটেল ব্যবসায়। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পাঁচ তারকা থেকে শুরু করে মোটামুটি মানের হোটেলগুলোয়ও পাওয়া যায় ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়। কিছু ক্ষেত্রে সকালের নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবারও হোটেল ভাড়ার সঙ্গে সংযুক্ত থাকে। তাই অতিরিক্ত খরচের চিন্তা কিছুটা হলেও লাঘব হয় বর্ষায় ঘুরতে গেলে। দেখে নিন, কক্সবাজারের কোন হোটেলে কতটা ছাড় পাবেন-
হোটেল নিরিবিলিতে বুকিংয়ের ক্ষেত্রে রয়েছে ৪৫ শতাংশ মূল্য ছাড়। হোটেলটির সর্বনিম্ন কক্ষ ভাড়া ১৯০০ টাকা।
দ্য সি প্রিন্স এ থাকতে চাইলে পর্যটকরা পাবেন ৫০ শতাংশ ছাড়। এছাড়া রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন প্যাকেজ। এর মধ্যে সুলভ মূল্যের প্যাকেজটি হচ্ছে ‘তিন দিন দুই রাত’। বুকিং মানি মাত্র ৮০০০ হাজার টাকা। এর মধ্যে রয়েছে দুজনের জন্য তিন বেলার খাবার।
হোটেল মিশুক দিচ্ছে ৪০ শতাংশ মূল্য ছাড়। হোটেলটিতে সর্বনিম্ন কক্ষ ভাড়া ১৮০০ টাকা।
হোটেল কোরাল রিফে পর্যটকরা পাবেন ৫০ শতাংশ ছাড়। হোটেলটির কক্ষ ভাড়া ২৫০০ টাকা থেকে শুরু।
হোটেল সি স্যান্ডে আগতরা পাবেন ৫০ শতাংশ ছাড়। হোটেলটির সর্বনিম্ন কক্ষ ভাড়া ১৫০০ টাকা।
যেভাবে যাবেন ঢাকা থেকে বাসে যেতে পারেন। ভাড়া ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা। আকাশপথেও যেতে পারেন কক্সবাজার। সে ক্ষেত্রে খরচটা একটু বেশি হবে।
Add Comment