Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 6:41 pm

ভ্রমণে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ে

একটু বেশি সময় ধরে একটানা পড়াশোনা করলে কিংবা পেশাগত জীবনে একটানা কাজ করলে মস্তিষ্ক ক্লান্ত হয়ে পড়ে, এতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমে আসে। তখন যতই চেষ্টা করা হোক না কেন মস্তিষ্ক আর কোনো কাজই করে না। মস্তিষ্ক এ সময় চায় একটু বিশ্রাম, চায় একটু শান্ত থাকতে। কিন্তু তাই বলে কি বাসায় চুপ করে বসে থেকে ব্রেনকে বিশ্রাম দেবেন? না, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজন বিনোদন। তাই একে সুস্থ ও কর্মক্ষম করে রাখতে ভ্রমণ করতে পারেন। এতে যেমন ফ্রেশ লাগবে, তেমনি মস্তিষ্কও সচল থাকবে।
সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, বেড়াতে যাওয়া আমাদের শরীরের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে।
ভ্রমণ মেটায় মনের ক্ষুধা। সৌন্দর্যের কাছে গেলে মন প্রশান্ত হয়ে যায়। নিরিবিলি জায়গায় মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায়। ফলে দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পায় মন। প্রকৃতির সান্নিধ্যে মস্তিষ্ক থেকে দুর্ভাবনা দূর হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, মস্তিষ্কের মুড ভালো করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো এক বিষয়ে একনাগাড়ে না থেকে ভিন্ন বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, যখন এই কাজটা করা হয় তখন মস্তিষ্ক সেই তালে ঠিকই পুরোনো বিষয় বা বিরক্তিকর জিনিসগুলো ভুলে যায়। এসব বিষয়ে একজন বিজ্ঞানী গবেষণা করেছেন। তিনি কয়েকজন মানুষকে ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বনে নিয়ে যান। সেখানে মাত্র দেড় ঘণ্টা তাদের হাঁটতে দেওয়া হয়। দেখা যায়, মস্তিষ্কে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। মাত্র দেড় ঘণ্টায় যদি এতটা পরিবর্তন লক্ষ করা যায়, তাহলে দীর্ঘ ভ্রমণের ফল আরও ভালো হবে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে তারা একটি গ্রুপকে শহরের বাইরে কিছুদিনের জন্য পাঠিয়েছিলেন। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, তাদের নিজেদের সব ইলেকট্রনিক ডিভাইস বন্ধ রাখতে হবে। সেখান থেকে ফিরে আসার পর তাদের বেশ কয়েকটি জটিল ও সৃজনশীল কাজ করতে দেওয়া হয়। দেখা যায়, তাদের সৃজনশীল ভাবনার ক্ষমতা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে।
সুতরাং বলা যায়, মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে ভ্রমণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মনকে প্রফুল্ল রাখতে, জীবনের অনেক জট খুলতে এটাই জাদুকরী সমাধান।