ঈদের পরে কাছে কিংবা দূরে ভ্রমণে যেতে আরাম বোধ করে অনেকেই। ঈদের আনন্দকে বাড়তি মাত্রা দিতে ভ্রমণের তুলনা নেই। তাই এ সময় দেশের পর্যটন স্থানগুলোয় পর্যটকদের ভিড় লেগে থাকে। তবে বর্ষা গোল বাধাতে পারে। হুড়মুড়িয়ে যদি বৃষ্টি ঝাঁপিয়ে পড়ে আনন্দটাই হবে মাটি, সঙ্গে শারীরিক অসুস্থতা তো আছেই। তাই এ বর্ষায় ভ্রমণে সতর্কতা অবলম্বনে কিছু টিপস
রেইনকোট রাখুন
ভ্রমণে গেলেন। হয়তো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন সৈকতে কিংবা দৃষ্টিনন্দন কোনো পর্যটন স্পটে। এমন সময় বেরসিক বৃষ্টি হুট করে এসে আনন্দটা মাটি করে দিতে পারে। হতে পারে বৃষ্টির কারণে আপনি গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না, হোটেল থেকে বের হওয়াটাই হয়ে উঠেছে চ্যালেঞ্জ! তাই বৃষ্টি থেকে বাঁচতে ভ্রমণের সময় সঙ্গে রাখুন রেইনকোট। সঙ্গে রাখতে পারেন ছাতা, সানগ্লাস ও ক্যাপ।
বৃষ্টিতে অতিরিক্ত ভিজবেন না
ভ্রমণে অ্যাডভেঞ্চার কার না পছন্দ? এর মাত্রা বাড়াতে গিয়ে বৃষ্টির সময় ভেজা স্বাভাবিকই। কিন্তু এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাই ভ্রমণে গিয়ে বৃষ্টিতে অতিরিক্ত ভিজবেন না।
খেয়াল রাখুন প্রকৃতিতে
বর্ষায় কোথাও ঘুরতে গেলে অবশ্যই প্রকৃতির মন-মেজাজের দিকে কিছুটা খেয়াল রাখা উচিত। কেননা এ সময় ভ্রমণ পিপাসুরা ছুটেন মূলত কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, কুয়াকাটা অভিমুখে। তাই যদি প্রকৃতি গোমড়ামুখো থাকে ভ্রমণটা পিছিয়ে দেওয়াই ভালো। অন্যথায় প্রত্যাশামতো আনন্দ তো হবেই না, উল্টো বিপত্তির জোর সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
সতর্ক হতে হবে চলাচলে
বর্ষায় যেখানেই ভ্রমণে যান না কেন সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে চলাচলে। কারণ বৃষ্টির কারণে পথ-ঘাট পিচ্ছিল হয়ে থাকে, এতেই ঘটতে পারে বিপত্তি। একটু সতর্ক না হলে এ সময় জোয়ার-ভাটায় তলিয়ে যাওয়া, চোরাবালিতে আটকে পড়ার মতো বিপদে পড়তে পারে পর্যটকরা। বিষাক্ত সরীসৃপ কিংবা জোঁকের উৎপাতও কম নয়। তাই ভ্রমণকে উপভোগ্য করতে সতর্ক হতে হবে চলাচলে।
সঙ্গে রাখুন প্রয়োজনীয় ওষুধ
বর্ষায় ভ্রমণের সময় অবশ্যই প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র সঙ্গে রাখা চাই। এর সঙ্গে খাবার স্যালাইন, ব্যান্ডেজ, বমির ওষুধ, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ রাখতে পারেন।
Add Comment