শেয়ার বিজ ডেস্ক: মঙ্গল গ্রহে অনুসন্ধানমূলক প্রকল্পের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চলেছে নাসার মহাকাশযান পারসিভারেন্স রোভার। পারসি নামে পরিচিত পারসিভারেন্স রোভার মঙ্গলের একটি খাদের কিনারে মাসব্যাপী আরোহণ শুরু করতে চলেছে বলে গত সপ্তাহে এক ঘোষণায় জানিয়েছে নাসা। খবর: এবিসি নিউজ।
নাসার মার্স ২০২০ মিশনের কেন্দ্রে রয়েছে পারসিভারেন্স রোভার, যা এই লাল গ্রহে অনুসন্ধানের জন্য তথ্য সংগ্রহের জন্য কাজ করছে। গাড়ির আকারের মহাকাশযানটি মার্স জেজেরো ক্রেটার ফ্লোর এবং নদীর ব-দ্বীপের খোঁজ করতে আড়াই বছর ব্যয় করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার থেকে এই মহাকাশযানটি একটি খাদের কিনারায় আরোহণ শুরু করেছে। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির পারসিভিয়ারেন্সের প্রকল্প ব্যবস্থাপক আর্ট থম্পসন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, পারসিভারেন্স চারটি বৈজ্ঞানিক অভিযান সম্পন্ন করেছে। ২২টি শিলা সংগ্রহ করেছে এবং ১৮ মাইলের বেশি কাঁচা রাস্তা ভ্রমণ করেছে।
থম্পসন বলেন, আমরা ক্রেটার রিম ক্যাম্পেইন শুরু করেছি এবং আমাদের রোভারটি চমৎকার অবস্থায় রয়েছে। আমরা এই খাদে কী রয়েছে তা দেখার জন্য উš§ুখ হয়ে আছি। এটিকে এখন পর্যন্ত রোভারটির জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং যাত্রা হিসেবে ধরা হচ্ছে। পারসিভারেন্স গর্তের ওপরে পূর্ব-পরিকল্পিত পথে ২৩ ডিগ্রি পর্যন্ত ঢালের মুখোমুখি হওয়ার সময় স্বয়ংক্রিয় নেভিগেশন ক্ষমতার ওপর নির্ভর করবে।
একে গর্তের চূড়ায় ওঠার মুহূর্তকে বিজ্ঞানীরা ‘অরোরা পার্ক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। রোভারটি প্রায় এক হাজার ফুট উচ্চতায় উঠবে। গবেষকরা খাদ থেকে রোভারের আনা নতুন তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছেন। গবেষকরা আশা করছেন নতুন তথ্যের ভিত্তিতে আরও অনেক আবিষ্কার সামনে আসবে।
পারসিভারেন্সের মাস্টক্যাম-জেড দলের বিজ্ঞানী এবং ক্রেটার রিম ক্যাম্পেইনের অন্যতম বিজ্ঞানী এলেনি রাভানিস বলেন, মঙ্গল গ্রহকে বোঝার ক্ষেত্রে এই গবেষণার ফল উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। তিনি বলেন, ক্রেটার রিম এখন পর্যন্ত সংগ্রহ করা নমুনার চেয়ে আরও বেশি নমুনা সরবরাহ করবে, যা মঙ্গলের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের বোঝার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।