প্রতিনিধি, ফরিদপুর: ফরিদপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের জায়গার মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে ইউএনওর ওপর এলাকাবাসীর হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ও গতকাল শুক্রবার সকালে এ দুটি মামলা দায়ের করা হয় মধুখালী থানায়। দুটি মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয়েছে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান ও মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ আসাদুজ্জামানকে। পুলিশ এ মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
মধুখালী থানা সূত্রে জানা গেছে, একটি মামলার বাদী ইউএনও আশিকুর রহমান চৌধুরীর গাড়িচালক সুমন শেখ। অপর মামলার বাদী মধুখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রবীর কুমার বিশ্বাস। দুটি মামলায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি দেখানো হয়েছে আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে।
গাড়িচালকের সুমন শেখের দায়ের করা মামলায় সরকারি কাজে বাধা, ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করে জখম করা, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর ও চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে। এসআই প্রবীর কুমার বিশ্বাসের দায়ের করা মামলায় পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামি ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা ইব্রাহিম মৃধা (১৯) ও মো. প্রিন্স মোল্লাকে (৩২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মধুখালী থানার ওসি শহীদুল ইসলাম বলেন, গ্রামবাসীর হামলায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন এসআই প্রবীর কুমার বিশ্বাস, কনস্টেবল মো. আলী হোসেন, মাহমুদ খান ও আবু হানিফ।
এদিকে বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মধুখালী শাখার আয়োজনে গতকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মধুখালী রেলগেট এলাকায় দোষীদের গ্রেপ্তার দাবিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচির অনুষ্ঠিত হয়। মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নাজির হোসেন মৃধার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মীর নাজমুল হোসেন, মধুখালী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদুল মুনসুর, অলোকা বিশ্বাস, মো. আলিমুজ্জাম, সাজেদুল ইসলাম, সুভাষ সরকার, মো. রোকনুজ্জামান, রজব আলী, মো. সুলাইমান, বাদশা মোল্লা, মো. বশিরউদ্দীন প্রম–খ।