ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাখোঁর অভিযোগ
শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে দায়ী করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, লেবাননে সাম্প্রতিক সহিংসতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ইসরায়েল ওই অঞ্চলকে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েডিওথ আহরোনোথের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে আলাপ করেছেন ইমানুয়েল ম্যাখোঁ। তবে ম্যাখোঁর এমন সতর্কতার জবাবে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, ইসরায়েলের পরিবর্তে হিজবুল্লাহর ওপর চাপ দেয়া উচিত।
দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ অন্তত ১৪ জন নিহত হওয়ার পর ম্যাখোঁ নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। শুক্রবার ওই হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, লেবানন সীমান্ত নিরাপদ না হওয়া পর্যন্ত সামরিক অভিযান চলবে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ও লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, বিমান হামলায় ইব্রাহিম আকিলসহ কয়েকজন সিনিয়র হিজবুল্লাহ নেতা নিহত হয়েছেন।
হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করা হয়েছে। তবে কীভাবে হিজবুল্লাহর এই শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়নি। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে কারণ এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে।
হামলার পর ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে অন্তত ১৪০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলি হামলার প্রতিশোধ ও ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতি সমর্থন জানিয়ে এই রকেট হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে তারবিহীন যোগাযোগ যন্ত্র পেজার ও রেডিও বিস্ফোরণের পর বৃহস্পতিবার লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলে হামলা চালায় ইসরায়েল। এই হামলাকে গত এক বছরের মধ্যে দেশটিতে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে চালানো এই অভিযানে তাদের যুদ্ধবিমানগুলো দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দক্ষিণ লেবাননে শত শত মাল্টিপল রকেট-লঞ্চার ব্যারেলে আঘাত হেনেছে। আইডিএফের দাবি, রকেটগুলো কিছুক্ষণের মধ্যেই ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হতো।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা এনএনএ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার পর দক্ষিণ লেবাননে ৫২টির বেশি হামলা চালানো হয়েছে। লেবাননের তিনটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে সংঘাত শুরু হওয়ার পর এটিই সবচেয়ে বড় বিমান হামলা। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।