প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা নাস্তিপুর গ্রামে দূর্বৃত্তদের গুলিতে হযরত আলী (৫৬) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার নিজ বাড়ির নিজ ঘরে তাকে গুলি করা হয়।
নিহত হযরত আলী দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার মৃত রহিছ উদ্দিনের ছেলে।
নিহতের ছেলে তৌফিক হোসেনের দাবি, তার পিতা হযরত আলী বিজিবির সোর্স হিসেবে কাজ করতো। সীমান্ত এলাকায় চোরাকারবারিরা তার পিতাকে হত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তৌফিক বলেন, রাত সাড়ে ১২ টার দিকে বিকট শব্দে আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। পরে পাশের কক্ষে আমার বাবার গোঙ্গানোর আওয়াজ শুনতে পেয়ে সেখানে গিয়ে দেখি বাবার মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ঘরের জানালা খোলা থাকায় দৃর্বৃত্তরা সেদিক দিয়ে আমার বাবাকে গুলি করে। পরে বাবাকে দ্রুত উদ্ধার করে চাচাতো ভাইকে সাথে নিয়ে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের নিয়ে আসি। রাত পৌনে ৩ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সোহরাব হোসেন বলেন, রাত ১ টার পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে তার স্বজনরা নিয়ে আসে। পরে রাত পৌনে ৩ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত হয়।
দর্শনা থানার ওসি এএইচএম লুৎফুল কবীর বলেন, ঘুমন্ত অবস্থায় হয়রত আলীকে গুলি করেছে দূর্বত্তরা। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে অভিযুক্তদের আটকে অভিযান চালাচ্ছে। তার স্বজনরা জানায় তিনি বিজিবির সোর্স ছিলেন। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।