শুভ্র শচীন, খুলনা: পেঁয়াজের সঙ্গে বাড়ছে সবজির দাম। মনিটরিং না থাকায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম পাঁচ টাকা ও সবজির দাম চার থেকে পাঁচ টাকা বেড়েছে। দাম বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা।
শনিবার নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে সরজমিনে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, পটোল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫২ থেকে ৬০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৮ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, শীতকালীন শিম ১২০ টাকা, কচুরমুখী ২০ থেকে ২৫ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, লালশাক ও ঘিকাঞ্চন শাক ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
এক সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৪৫ থেকে ৫০ টাকা, উচ্ছে ৬০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, ঝিঙে ৪০ টাকা, শীতকালীন শিম ১০০ টাকা, কচুমুখী ২০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, বরবটি ৪৫ টাকা, লালশাক ও ঘিকাঞ্চন শাক ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হয়। তবে কাঁচামরিচের দাম কিছুটা নি¤œমুখী বলে ক্রেতা বিক্রেতারা জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আঠারোমাইল, চুকনগর, খর্নিয়া, বটিয়াঘাটার কৈয়া বাজার, যশোরের সাতমাইল, বারোবাজার, কেশবপুর, মনিরামপুর, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন আড়তের সবজি খুলনার চাহিদা মেটায়। এমনকি এসব অঞ্চলের সবজি চাষিরা রাজধানী ঢাকার বাজারগুলোর চাহিদাও পূরণ করে থাকে।
নগরীর ময়লাপোতা কেসিসি সন্ধ্যা বাজারে আসা ক্রেতা জসীম উদ্দিন বলেন, পেঁয়াজের সঙ্গে সবজির দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। নগরীর নতুন বাজার এলাকায় আসা ক্রেতা শামীম আহমেদ বলেন, সবজির দাম দিন দিন বাড়ছে। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেও জানান তিনি। এ বাজারের ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, চাহিদার তুলনায় বাজারে সবজির সরবরাহ অনেক কম। যে কারণে দামও অনেক বেশি।
বয়রা বাজারে স্থানীয় বিল আবাদ-ডুমুরিয়া এলাকা থেকে সবজি আসে। ১০-১২ জন নারী প্রতিদিনই ওই এলাকা থেকে সবজি কিনে এ বাজারে বিক্রি করেন। তারা জানান, গত দুদিনের বৃষ্টিতে অধিকাংশ সবজিক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় সবজির দাম বেড়েছে।
সোনাডাঙ্গা ট্রাক টার্মিনাল এলাকার পাইকারি কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী ইকরামুল বিশ্বাস জানান, পাইকারি কাঁচাবাজারে সবজির দারুণ সংকট চলছে। ফলে এর প্রভাব পড়ছে নগরীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে। ব্যবসায়ী মাহমুদ হাসান জানান, চাহিদার তুলনায় বাজারে সবজি সরবরাহ অনেক কম। ইলোরা বাণিজ্য ভাণ্ডারের আড়তদার শেখ মুরাদ হোসেন জানান, ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ অনেক কম। দেশি পেঁয়াজের চাহিদা বেশি। তাই দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।