মন্ত্রী-এমপিদের আচরণবিধি মানতে হবে: ইসি সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক:মন্ত্রী-এমপিদের সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। একই সঙ্গে জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারদের বদলির ক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদন নিতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম এসব কথা জানান।

নির্বাচনের সময় শুরু হলো। মন্ত্রী-এমপিরা আগে যেভাবে কাজ করতেন, এখন সেভাবে করবেন কি নাÑএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রথমত নির্বাচন আচরণ বিধিমালায় সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনপূর্ব সময় বলতে তফসিল ঘোষণার দিন থেকে বলা আছে। আইনে বলা আছে, নির্বাচনের ফল ঘোষণার সময় পর্যন্ত রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের আচরণ বিধিমালা-২০০৮ অনুসরণ করতে হবে।

মন্ত্রী-এমপিদের প্রচার-প্রচারণা নিয়ে কোনো পরিপত্র জারি হবে কি নাÑএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, না। যেহেতু এটি আইনে আছে, সেহেতু প্রয়োজন নেই।

ইসি সচিব বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আইনে সুস্পষ্টভাবে বলে দেয়া আছে, নির্বাচনকালে কোনো বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। সেখানে বলে দেয়া আছে, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ কয়েকজন এবং তাদের অধস্তনদের বদলির ক্ষেত্রে কমিশনের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে। সুতরাং তারা কমিশনের আওতায় চলে আসবেন, অধীন আসবেনÑআইনে কিন্তু এভাবে বলা নেই। বলা আছে, কমিশনের পূর্ব অনুমোদন নিতে হবে।

তিনি বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে সময়ের আগে যদি বদলি বা পদোন্নতি করা হয়ে থাকে, সেটা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। আইনে যে পদমর্যাদার কথা বলা আছে, সে পদমর্যাদার বদলির প্রস্তাব যদি কমিশনে আসে, কমিশন অনাপত্তি জানাতে পারে, আপত্তিও জানাতে পারে। এ পর্যন্ত এ ধরনের কোনো প্রস্তাব আমাদের কাছে আসেনি।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ব্যালট পেপার ছাপানো হবে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে। সেগুলো জেলা পর্যায়ে যাবে নির্বাচনের তিন-চার দিন আগে থেকে। সে সময় এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করা হবে।

স্থানীয় সরকারের মেয়র বা মেয়র পদত্যাগ কার কাছে করবেনÑএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা আইনে বলা আছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে দেবে।

আগাম প্রচারণার বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, এগুলো আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছি যে, তারা তাদের মতো করে উদ্যোগ নেবেন। নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে বলা আছে, নির্বাচন যেদিন হবে, তার ২১ দিনের আগে কখনোই প্রচার-প্রচারণা করা যাবে না। এ সময়ের মধ্যেই প্রচার চালাতে হবে। যেহেতু ৭ জানুয়ারি ভোট হবে, সে হিসাবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টার আগে থেকে প্রতীক বরাদ্দের দিন পর্যন্ত, এ সময়ে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, প্রটেকশন হলো নিরাপত্তা, আর প্রটোকল হলো যিনি যে পদে যাবেন, সে পদ অনুযায়ী তিনি যতটুকু সম্মান পাবেন সেটা।

তফসিলের পর ১২টি গাড়ি ও একটি ট্রেন পোড়ানো হয়েছে। এই অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন কতটুকু করতে পারবেনÑএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা কমিশন বলতে পারবে।

সিইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনী প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০