Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 12:23 pm

মন্দা বাজারে ভালো অবস্থানে জ্বালানি খাতের সরকারি কোম্পানিগুলো

রুবাইয়াত রিক্তা: পুঁজিবাজারে গতকাল সূচক ও শেয়ারদরে বড় পতন দিয়ে লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতন হয়। তবে বিক্রির চাপে লেনদেন সামান্য বেড়েছে। গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৫৯ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। বেড়েছে ৩০ দশমিক পাঁচ শতাংশের দর। ছোট বড় প্রায় সব খাতেই দরপতনের হার বেশি ছিল। বিশেষ করে ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন এবং প্রকৌশল খাতে বড় পতন হয়। তুলনামূলক ভালো অবস্থানে ছিল জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত, বিমা ও মিউচুয়াল ফান্ড খাত। গতকাল জ্বালানি খাতের সরকারি কোম্পানিগুলোর দর তুলনামূলক বেশি বেড়েছে।
প্রায় ১৫ শতাংশ বা সাড়ে ৪৬ কোটি টাকা লেনদেন হয়ে শীর্ষে উঠে আসে প্রকৌশল খাত। এ খাতে ৫৯ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। ন্যাশনাল টিউবসের সাড়ে ১১ কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে তিন টাকা নব্বই পয়সা। ইস্টার্ন কেব্লসের সোয়া সাত কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে ৯ টাকা ৮০ পয়সা। মুন্নু জুট স্টাফলার্সের সোয়া সাত কোটি টাকা লেনদেন হলেও তিন টাকা ৮০ পয়সা দরপতন হয়। বিমা খাতে লেনদেন হয় ১৪ শতাংশ। এ খাতে ৫৭ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সাড়ে পাঁচ শতাংশ বেড়ে ঢাকা ইন্স্যুরেন্স ও প্রায় পাঁচ শতাংশ বেড়ে প্রাইম ইন্স্যুরেন্স দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় উঠে আসে। ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয় ১৩ শতাংশ। এ খাতে ৬২ শতাংশ কোম্পানি দরপতনে ছিল। বীকন ফার্মার আট কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর বেড়েছে এক টাকা ৪০ পয়সা। জেএমআই সিরিঞ্জের প্রায় সাত কোটি টাকা লেনদেন হলেও দরপতন হয় দুই টাকা ৩০ পয়সা। স্কয়ার ফার্মার পৌনে সাত কোটি টাকা লেনদেন হয়, দর পতন হয় এক টাকা ২০ পয়সা। জ্বালানি খাতে লেনদেন হয় ১২ শতাংশ। এছাড়া ৫৮ শতাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে। সামিট পাওয়ারের সাড়ে সাত কোটি টাকা লেনদেন হলেও ৮০ পয়সা দরপতন হয়। সরকারি মালিকানাধীন মেঘনা পেট্রোলিয়ামের সোয়া ছয় কোটি টাকা লেনদেন হয়। দর বেড়েছে ১১ টাকা ৪০ পয়সা। কোম্পানিটি দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে উঠে আসে। এছাড়া সরকারি অপর দুই কোম্পানি পদ্মা ও যমুনা অয়েলের দর যথাক্রমে পৌনে ৯ ও আট শতাংশ করে বেড়েছে। মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ৬৫ শতাংশ কোম্পানির দর বেড়েছে। সাড়ে ৯ ও ৯ শতাংশ করে বেড়ে দুই মিউচুয়াল ফান্ড সিএপিএম বিডিবিএল ও সিএপিএম আইবিবিএল দর বৃদ্ধির শীর্ষে অবস্থান করে। এছাড়া আর কোনো খাতে উল্লেখযোগ্য লেনদেন হয়নি। ব্যাংক খাতে ৬৩ শতাংশ, বস্ত্র খাতে ৬৬ শতাংশ কোম্পানির দরপতন হয়। সিরামিক খাতের স্টান্ডার্ড সিরামিকের দর প্রায় ৪০ টাকা বেড়ে কোম্পানিটি দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশের মধ্যে অবস্থান করে।