মন্দা মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনাভাইরাসের অভিঘাত এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে আছে। এ মন্দা মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ, ২০২২’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা গণভবন থেকে মিরপুরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত মূল আয়োজনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন। খবর: বাসস।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়টা হলো আমাদের উন্নয়নের গতি কিছুটা হলেও শ্লথ হয়ে গেছে। করোনাভাইরাসের অভিঘাত, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) কাউন্টার স্যাংশনের (পাল্টা নিষেধাজ্ঞা) ফলে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। এই মন্দা মোকাবিলায় এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তাঁর দেশের প্রতিটি মানুষ সুন্দরভাবে বাঁচবে, উন্নত জীবন পাবে, শিক্ষাদীক্ষায় উন্নত হবে, সেই লক্ষ্য ইনশা আল্লাহ আমরা বাস্তবায়ন করব।’

অগ্নিনির্বাপণকারীদের ‘দুঃসময়ের বন্ধু’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা (ফায়ার ফাইটার) নিজেদের জীবন বাজি রেখে মানুষের কল্যাণ করে মানুষকে উদ্ধার করেন। একটি মহৎ কাজে তারা নিয়োজিত রয়েছেন। কাজেই ফায়ার সার্ভিসের প্রতিটি সদস্যই দুঃসময়ের বন্ধু হিসেবে মানুষের কাছে প্রতীয়মান। তাই ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আমরা বিদেশি সহায়তাও কাজে লাগিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দায়িত্বপালনকালে নিহত ৩০ অগ্নিনির্বাপণকর্মীকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। তিনি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিস সম্পূর্ণ সক্ষমতার, উচ্চ ক্ষমতার সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে যাতে রূপান্তরিত হয়, সে ব্যবস্থাই আমরা গ্রহণ করেছি। প্রতিটি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস প্রতিষ্ঠার যে ঘোষণা আমরা দিয়েছিলাম, তা এখন শেষ পর্যায়ে। যারা এ কাজে সম্পৃক্ত, তারা যেন উন্নত মানের প্রশিক্ষণ ও যন্ত্রপাতি পান, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বঙ্গবন্ধু ফায়ার একাডেমি প্রতিষ্ঠারও উদ্যোগ নিয়েছি।’

সরকারপ্রধান বলেন, লিঙ্গসমতা দূর করতে ‘ফায়ারম্যান’ পদের নাম ‘ফায়ার ফাইটার’ করা হয়েছে। পরিদর্শকের সংখ্যা ৫০ থেকে ২৬৮, ডুবুরির সংখ্যা ২৫ থেকে ৮৫, অ্যাম্বুলেন্স সংখ্যা ৫০ থেকে ১৯২, আগুন নেভানোর পানিবাহী গাড়ির সংখ্যা ২২৭ থেকে ৬১৭ এবং ফায়ার পাম্পের সংখ্যা ৪৫০ থেকে এক হাজার ৫৪৬টিতে উন্নীত করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও নিরাপত্তাসেবা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সীতাকুণ্ডে সাম্প্রতিক বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৩ জন অগ্নিবীরের পরিবারসহ ফায়ার সার্ভিসের ৪৫ সদস্যের হাতে চারটি ক্যাটেগরিতে ‘ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স পদক, ২০২২’ তুলে দেন। প্রধানমন্ত্রী বাহিনীর কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন এবং রাষ্ট্রীয় সালাম গ্রহণ করেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০