শেয়ার বিজ ডেস্ক: মলদোভাকে প্রায় ২৯০ কোটি ইয়েন বা দুই কোটি ২০ লাখ ডলার সহায়তার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে জাপান সরকার। খবর: এনএইচকে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিও গতকাল শনিবার রাজধানী টোকিওতে মলদোভার প্রেসিডেন্ট মাইয়া সান্দুর সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হন। এতে কিশিদা রুশ আগ্রাসনের মধ্যে ইউক্রেন থেকে বিপুলসংখ্যক উদ্বাস্তুকে সহায়তা করার জন্য মলদোভার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের প্রতিবেশী দেশ মলদোভা।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে মলদোভায় দুই লাখ ৬০ হাজার ইউক্রেনীয় নাগরিক প্রবেশ করেন, যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। তাদের মধ্যে এখনও এক লাখ এক হাজার মানুষ সেখানে অবস্থান করছেন। সাবেক সোভিয়েত রাষ্ট্র মলদোভার জনসংখ্যা ২৬ লাখের কিছু বেশি। ইউরোপের অন্যতম দরিদ্র দেশ এটি। ইউক্রেনের প্রতিবেশীদের মধ্যে দ্রুততম শরণার্থীর আগমন ঘটেছে এখানেই।
জাপানের এ আর্থিক সহায়তা, মলদোভার স্বাস্থ্যসেবা, খাদ্য ও জ্বালানি খাতে ব্যয় করা হবে।
কিশিদা জানিয়েছেন, মলদোভা এর আগে আর্থিক সহায়তার জন্য জাপানের কাছে অনুরোধ করেছিল। সেই বিষয়টিও বিবেচনা করবে জাপান। জ্বালানি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে জাপানের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান মাইয়া সান্দুর।
রাশিয়ার আগ্রাসনে মলদোভাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত মাসে বিমান হামলার পর ইউক্রেনের পশ্চিমের লুভিও শহর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে ব্ল্যাকআউট হয়ে যায় মলদোভাও। তবে দেশটিতে সরাসরি কোনো বোমা আঘাত হানেনি।
তখন মলদোভার উপপ্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেই স্পিনু টুইটারে জানান, তার দেশের অর্ধেকের বেশি এলাকা বিদ্যুৎবিহীন। মলদোভার এনার্জি পলিসি বিশ্লেষক সের্গিউ তোফিলাত বলেন, আমাদের জ্বালানি সরবরাহ একটি পাওয়ার লাইনের ওপর নির্ভর করে, যা রাজধানী চিসিনাউয়ে পৌঁছানোর রাশিয়া নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল ট্রান্সনিস্ট্রিয়ার মধ্য দিয়ে চলে গেছে। ট্রান্সনিস্ট্রিয়া ইউক্রেন সীমান্তের একটি অঞ্চল। যখন ইউক্রেনে বোমা হামলা হয়, তখন এই লাইনটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
মলদোভা একটি ভঙ্গুর ও দুর্বল দেশ। ইউক্রেন ও মলদোভার সাহায্য দরকার। এ যুদ্ধের শেষ চায় দেশটি। মলদোভার কর্তৃপক্ষ চায় ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এ রুশ আগ্রাসন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বন্ধ হোক। মুক্ত বিশ্বের অংশ হয়ে থাকতে চায় দেশটি।
