মশাবাহিত রোগে ভুগতে ভুগতে নাকাল দেশবাসী। ঘরে-বাইরে, অফিসে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে মশা। দিন দিন এর প্রকোপ বেড়েই চলছে। মশাবাহিত রোগে ভুগে মৃত্যুর সংখ্যাও কম নয়। দেখে নিন মশাবাহিত জীবনবিনাশী ছয়টি রোগ।
চিকুনগুনিয়া
চিকুনগুনিয়া ঢাকার অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর উৎপত্তি
আফ্রিকায়। এ রোগে আক্রান্ত হলে রোগীর মাথাব্যথা, জ্বর, উদ্যমহীনতা, বমিভাব, মাংসপেশি ও অস্থিসন্ধিতে তীব্র ব্যথা অনুভ‚ত হয়। একপর্যায়ে তা রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে। এডিস ইজিপ্টি মশার আক্রমণে চিকুনগুনিয়া হয়। এ মশাগুলো ডেঙ্গু রোগও বহন করতে পারে। রোগটি দীর্ঘায়িত হলে সংক্রমণও হওয়াটা
অস্বাভাবিক নয়। এখন পর্যন্ত রোগটির কোনো প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। তবে প্যারাসিটামল প্রতিষেধক হিসেবে
কাজে দিচ্ছে বলে জানান বেশ
কয়েকজন চিকিৎসক।
ম্যালেরিয়া
ম্যালেরিয়ায় একসময় দেশে প্রচুর লোক মারা যেত। ম্যালেরিয়া নিমূল কর্মসূচির তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। কয়েক ধরনের ম্যালেরিয়ার মধ্যে পি ফ্যালসিপ্যারাম সবচেয়ে ভয়ংকর, যা মস্তিষ্কে আক্রমণ করে রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
জিকা
মশা কামড়ানোর দুই থেকে সাত দিন পর এ রোগের লক্ষণ দেখা যায়। এ রোগের লক্ষণ হলো মাথাব্যথা, হালকা জ্বর, চোখের পেছনে ব্যথা, লাল চোখ, ত্বকে র্যাশ, বমি, অস্থিসন্ধিতে ব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা প্রভৃতি। গর্ভবতী নারী এ রোগে আক্রান্ত হলে তাদের বিকলাঙ্গ হওয়ার শঙ্কা থাকে।
ডেঙ্গু
ডেঙ্গু মশাবাহিত রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম। ডেঙ্গুর কারণে মৃত্যু হয়ে থাকে। এডিস মশার কামড়ের মাধ্যমে এ রোগের ভাইরাস দেহে সংক্রমিত হয়। উচ্চমাত্রায় জ্বর, মাথাব্যথা (মাথার সামনের অংশে), চোখের পেছনে ব্যথা, মাংসপেশিতে ও হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা হলে বুঝতে হবে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া বমি বমি ভাব, বিতৃষ্ণাবোধ প্রভৃতি সমস্যা হতে পারে।
এনসেফালাইটিস
রোগটি ‘জাপানি এনসেফালাইটিস’ নামে পরিচিত। বাড়ির চারপাশের জলাভ‚মি ও স্থির পানিতে জšে§ এ রোগের বাহক মশা। রোগে আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই মারা যায়। মশা কামড়ানোর পর মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ডে রোগটি বাসা বাঁধে। ফলে মারাত্মকভাবে মস্তিষ্কের ক্ষতি হয়। প্যারালাইসিসের মতো সমস্যায় আক্রান্তও হয় অনেকে।
ফাইলেরিয়া
লিমফেটিক ফাইলেরিয়াসিস রোগটি ফাইলেরিয়া ধরনের একটি রোগ। এটি একটি মারাত্মক ইনফেকশন, যার প্রভাবে মানুষের পা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক গুণ ভারী হয়ে ওঠে।
Add Comment