নিজস্ব প্রতিবেদক: মশা নিধনে ঢাকা সিটি দক্ষিণ করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ওষুধ অকার্যকর বলে যে তথ্য এসেছে, তা সঠিক নয় বলে দাবি করছেন ডিএসসিসি মেয়র সাঈদ খোকন। গতকাল নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ওষুধ আংশিকভাবে কার্যকর কিংবা অকার্যকর কি না, তা নিয়ে তর্ক, আলোচনা ও সমালোচনা রয়েছে। ব্যাপকভাবে এটাকে নিরসনের জন্য দক্ষিণ সিটি করপোরেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারের মেন্ডেডপ্রাপ্ত সংস্থা আইইডিসিআর’কে আমাদের ব্যবহার করা ওষুধ সরবরাহ করব। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যে সিদ্ধান্ত দেবে আমরা সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেব। তিনি আরও বলেন, যদি ওষুধের কোনো একটি অংশ অকার্যকর থাকে, তাহলে সেটিকে রিপ্লেস করে দেবে আইইডিসিআর। এরপর আমরা তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছে পাঠাব। তাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে। আইসিডিডিআর,বি এবং সিডিসিপি যৌথভাবে যে গবেষণা করেছে, সেখানে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওষুধের নমুনা ব্যবহার করা হয়নি।
আইসিডিডিআর,বি’র সহকারী বৈজ্ঞানিক ড. শফিকুল আলম বলেন, মশা নিধনের ওষুধের তিন ধরনের উপাদান থাকে। আমরা এই তিন ধরনের মধ্যে একটি উপাদান নিয়ে গবেষণা করেছি। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা একাধিক প্রশ্ন করলে তিনি আর কোনো জবাব দেননি। এমনকি মেয়রের কাছে জানতে চাইলে তিনিও উত্তর না দিয়ে চলে যান। পরে আবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন মেয়র। তখন তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, অনেকাংশে আমরা নগরবাসীকে কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পারছি না। তবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শরিফ আহমেদ এবং আইসিডিডিআর,বি ও সিডিসিপি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিদ্যমান মশার ওষুধের কার্যকারিতা এবং মশক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নতুন ওষুধ নির্ধারণ-সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠকে বসেন মেয়র সাঈদ খোকন।
অন্যদিকে নগরবাসীদের ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ-সংক্রান্ত পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) কল সেন্টার চালু হতে যাচ্ছে। আজ বুধবার থেকে গুলশানের নগর ভবনে একটি কল সেন্টার চালু হবে। উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা এএসএম মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কল সেন্টারটির নম্বর ০১৯৩২-৬৬৫৫৪৪। এই নম্বরে যে কেউ ফোন করে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন। ডিএনসিসির কল সেন্টারটিতে ২৪ ঘণ্টা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করবেন চিকিৎসকেরা।
