Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 6:00 pm

মশা নিধনে উত্তর সিটির বরাদ্দ ১২২ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক: নগরে মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনা, যন্ত্রপাতি কেনা, ডেঙ্গু মোকাবিলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচারকাজে প্রায় ১২২ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। সোমবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১২টায় গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম।

ঢাকা উত্তর সিটির গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে মশক নিয়ন্ত্রণ বাবদ মোট ১১১ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছিল। সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী এ খাতে ব্যয় হয় ৭৪ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট অনুযায়ী এ খাতে ব্যয়ের তুলনায় এবারের বরাদ্দ প্রায় দেড়গুণ বেশি।

এবারের বাজেটে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের মধ্যে মশা নিধনকাজ পরিচালনার জন্য ৮৪ দশমিক ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে মশার ওষুধ কেনার পেছনেই ব্যয় হবে ৪৫ কোটি টাকা। আর ৩০ কোটি টাকা ব্যয় হবে বেসরকারি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়োজিত মশককর্মীদের দিয়ে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনায়।

এ ছাড়া মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ৭ দশমিক ৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে ডেঙ্গু মোকাবিলা, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম ও প্রচারণায়। সব মিলিয়ে যা ১২১ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা।

ঢাকা উত্তর সিটি নতুন অর্থবছরের মশা নিয়ন্ত্রণে যে বরাদ্দ রেখেছে, তা মোট বাজেটের প্রায় ২ দশমিক ৩২ শতাংশ। ঢাকা উত্তর সিটি নতুন অর্থবছরের মোট বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ২৬৮ দশমিক ৪৫ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত অর্থবছরের (২০২২-২৩) ঢাকা উত্তর সিটির সংশোধিত বাজেট ছিল ২ হাজার ৯৫০ দশমিক ৯৮ কোটি টাকা।

এ দিকে গত অর্থবছরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয় হয়েছে ১ হাজার ১৮০ দশমিক ৯০ কোটি টাকা। যা ঢাকা উত্তর সিটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ আয়। নতুন অর্থবছরে মোট রাজস্ব আয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৩০ দশমিক ৮৮ কোটি টাকা।

বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি এবং মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর সিটির ব্যর্থতা কোথায়, সাংবাদিকেরা এমন প্রশ্ন করলে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এত কিছু করছি, এরপরও মশা কেন নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে না এই প্রশ্নের উত্তর আমরাও জানি না। আমরাও এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছি, আসলে সমস্যাটা কোথায়?’ মেয়র আরও বলেন ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে মশার প্রজাতি, ব্যবহৃত ওষুধ—এসব নিয়ে গবেষণার জন্য সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) সাক্ষর হয়েছে। আশা করছি গবেষণার মাধ্যমে আমরা আরও ভালো কিছু পাব।’