শেয়ার বিজ ডেস্ক: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ঈদগাহ মাঠের কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষ ও সলঙ্গায় মসজিদে ইমামের টাকা তোলা নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত দুই ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে খোরশেদ আলম (৫০) নামে এক ব্যক্তি মারা যান। তিনি সলঙ্গা থানাধীন চক মনোহরপুর গ্রামের মৃত কছিম উদ্দিনের ছেলে।
এ ছাড়া শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিপ্লব হোসেন (৪৫) নামের আরও এক ব্যক্তি মারা যান। তিনি শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামের মোক্তার হোসেনের ছেলে।
এ পৃথক দুটি ঘটনায় আটককৃতরা হলেন, জেলার সলঙ্গা থানার চক মনোহরপুর গ্রামের ইউসুফ আলী (৫০) ও শাহজাদপুরের হরিরামপুর গ্রামের আল-আমিন (৩৫), আনোয়ার হোসেন (৪৫), মোতাহারুল হক (৬৫), হাবিবুল হক হারুন (৩৫), আব্দুস সাত্তার খান (৪৫) এবং সাকিল হোসেন সরকার (২৩)।
সলঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে চক মনোহরপুর মধ্যপাড়া জামে মসজিদে ইমামের বেতনের টাকা তোলা নিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি ইউসুফ আলীর বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট ওয়াজেদ আলী সরকারের সাথে তর্ক-বিতর্ক হয় খোরশেদ আলমের। এ নিয়ে উত্তেজনার এক পর্যায়ে মসজিদের বাইরে এসে ইউসুফ আলী ও তার লোকজন খোরশেদ আলমের ওপর হামলা ও মারপিট চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। শনিবার সকালে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বগুড়া শজিমেকে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
অপরদিকে, শাহজাদপুরের হরিরামপুর গ্রামবাসী জানান, শুক্রবার বিকেলে ঈদগাহ মাঠের কমিটি গঠন নিয়ে লুৎফর রহমান ও আকমল গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় অন্তত ৭ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে বিপ্লব হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাতেই ঢাকার একটি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিপ্লব হোসেন। আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর মাস্টার, তোরাব আলী, আব্দুল মতিন ও সাকিল হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিদ মাহমুদ বলেন, ঈদগাহ মাঠের কমিটি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিপ্লব হোসেন মারা গেছেন। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।