কিছুই ঢুকছে না মাথায় প্রায়ই এমন কথা বলে থাকেন। অথচ এর কারণগুলো নিয়ে হয়তো সাবধান থাকেন না।
মাথা না খাটানো
মস্তিষ্কের উন্নয়নে চিন্তাভাবনাই সর্বোৎকৃষ্ট পথ। চিন্তাভাবনা মস্তিষ্কে খোরাক জোগায়। এর অভাবে মস্তিষ্ক সংকুচিত হয়ে পড়ে।
সকালে নাস্তা না করা
সকালে নাশতা করতে অনীহা? তবে জেনে রাখুন, এ বদভ্যাস ব্লাড সুগার লেভেল কমিয়ে দেয়। যা মস্তিষ্কের জন্য পর্যাপ্ত পুষ্টি সরবরাহ করতে পারে না।
অতিরিক্ত খাওয়া
একবারে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে খাবেন। এক বৈঠকে বেশি খেয়ে ফেললে মস্তিষ্কের ধমনি শক্ত হয়ে যেতে পারে, যা মানসিক শক্তি কমিয়ে দেয়।
বেশি চিনি খাওয়া
প্রয়োজনের বেশি চিনি খাওয়া মোটেও ঠিক নয়। এটা অতিরিক্ত প্রোটিন শুষে নেয়। মাত্রাতিরিক্ত চিনি অপুষ্টির অন্যতম কারণও বটে। এসব কারণে মস্তিষ্কের উন্নয়নে বিঘœ ঘটে।
কম ঘুমানো
ঘুম মস্তিষ্ককে পরিপূর্ণ বিশ্রাম দেয়। ক্লান্তি বা অবসাদ দূরে সরিয়ে রাখে। স্থির ও ঝামেলামুক্ত রাখে মস্তিষ্ক। তবে দীর্ঘ মেয়াদে অপর্যাপ্ত ঘুম মস্তিষ্কের কোষগুলোর মৃত্যু দ্রুততর করে।
মুড়ি দিয়ে ঘুমানো
শীতকালে অনেকে লেপ-কম্বলের মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে ঘুমান। এভাবে ঘুমালে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়, অক্সিজেনহীনতায় ভুগতে থাকেন অনেকে। এ কারণে মস্তিষ্ককে অনেক খেসারত দিতে হয়।
দূষিত বায়ু সেবন
আমরা যে অক্সিজেন নিই, তার বেশিরভাগই মস্তিষ্ক টেনে নেয়। তবে শ্বাসের সঙ্গে দূষিত বায়ু টেনে নিলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহে বাধা পায়। এর দরুন মস্তিষ্ক স্বাভাবিকভাবে কাজ করতে পারে না।
ধূমপান
ধূমপানে কোনো উপকার নেই। এর দোষেরও কোনো শেষ নেই। মস্তিষ্ক সংকোচন করে দেয় ধূমপান। যার ফলে হতে পারে অ্যালঝেইমারের মতো রোগ। ভুগতে পারেন স্মৃতিহীনতায়।
অসুস্থতা
রোগে-শোকে ভুগছেন, আবার কঠোর পরিশ্রমও করছেন। আমরা অনেকে এমন করে থাকি। অসুস্থ শরীরেও হয় পড়াশোনা, না হয় অফিসের কাজ করে যাওয়া এই হয় নিত্যদিনের রুটিন। এ অভ্যাসই মস্তিষ্কের সক্ষমতা কমিয়ে দেয়। নষ্ট করে মস্তিষ্কের ভারসাম্য।
Add Comment