শেয়ার বিজ ডেস্ক: বারবার ব্যর্থতার পর যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং নাসার দুই নভোচারীকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) দিকে তাদের স্টারলাইনার ক্যাপসুল উৎক্ষেপণ করেছে। খবর: বিবিসি।
দীর্ঘ ও জটিল উন্নয়ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আসার পর এবারই প্রথম ক্যাপসুলটিতে মানুষ পরিবহন করা হলো। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলা একটি মিশনে বুচ উইলমোর এবং সুনি উইলিয়ামস ক্যাপসুলটি পরীক্ষা করবেন।
ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স অ্যাটলাস রকেটে করে ক্যাপসুলটি মহাকাশে যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছানোর কথা স্টারলাইনার ক্যাপসুলের।
স্টারলাইনারকে এখন আইএসএসের কক্ষপথে নিজেকে নিয়ে যেতে হবে। আইএসএস প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে।
একাধিক উড়োজাহাজের সুরক্ষা নিয়ে চাপে থাকা বোয়িংয়ের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মিশন।
বোয়িংয়ের স্টারলাইনারও অনেক প্রযুক্তিগত সমস্যার মুখোমুখি হয়ে পরিকল্পিত ক্রু নিয়ে যাত্রার তারিখ প্রায় এক দশক বিলম্বিত করেছে। এর আগে সবশেষ চলতি মাসের প্রথম দিন রকেটটি উৎক্ষেপণের তিন মিনিট ৫০ সেকেন্ড আগে উৎক্ষেপণকারী কম্পিউটারটি কাউন্টডাউন বন্ধ করে দেয় এবং এর ফলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই উৎক্ষেপণ প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
এরই মধ্যে ইলন মাস্কের স্পেসএক্স ২০২০ সালে ক্রুসহ ফ্লাইট পরীক্ষা চালাতে সক্ষম হয়েছে। এদিকে বোয়িং স্পেসএক্সের চেয়ে চার বছর পিছিয়ে রয়েছে। সংস্থাটি ত্রুটিগুলো ঠিক করার জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে।
এরপর বিস্তারিত বিশ্লেষণের পর এতে একটি ছোট ছিদ্র পাওয়া যায়। তবে বোয়িং ও নাসা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, এই ছিদ্র উৎক্ষেপণ আটকানোর মতো গুরুতর ছিল না।
স্টারলাইনার নাসার নভোচারীদের মহাকাশে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাণিজ্যিক বিকল্প হিসেবে নাসার অনুরোধে তৈরি করা হয়েছে। খরচ কমানোর জন্য নাসা মহাকাশে যাওয়ার জন্য এমন মহাকাশযানের আউটসোর্স পদ্ধতি বেছে নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।