Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 1:44 pm

মহাকাশে ভারতের প্রথম বেসরকারি রকেট ‘বিক্রম-এস’ উড্ডয়ন

শেয়ার বিজ ডেস্ক : ভারতে প্রথম বেসরকারিভাবে নির্মিত রকেট ‘বিক্রম-এস’ অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা মহাকাশবন্দর থেকে সফলভাবে উড্ডয়ন করেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টাড এ উড্ডয়নের মধ্য দিয়ে ভারতের মহাকাশ ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্বের সূচনা হলো। কয়েক দশক ধরে এ ক্ষেত্রটিতে দেশটির রাষ্ট্রপরিচালিত ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অরগানাইজেশনেরই (ইসরো) প্রাধান্য ছিল। খবর: এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস।

উড্ডয়নের পর মিশনের শুরু সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়ে টুইটারে এক বার্তায় সংশ্লিষ্টদের ‘অভিনন্দন’ জানায় ইসরো।
‘বিক্রম-এস’ রকেটের নির্মাতা হায়দরাবাদভিত্তিক স্টার্ট-আপ স্কাইরুট অ্যারোস্পেসই ইসরো ও ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল স্পেস প্রমোশন অ্যান্ড অথোরাইজেশন সেন্টারের (ইন-স্পেস) সহায়তায় এ ‘প্রারম্ভ’ (সূচনা) অভিযানের শুরু হয়। রকেটটি অন্ধ্র প্রদেশভিত্তিক এন স্পেস টেক ইন্ডিয়া, চেন্নাইভিত্তিক স্টার্টআপ স্পেস কিডস ও আর্মেনিয়ার বাজুমকিউ স্পেস রিসার্চ ল্যাব সমন্বয় করেছে।

টুইটার বার্তায় স্কাইরুট অ্যারোস্পেস বলে, ‘উৎক্ষেপিত! প্রথম ভারতীয় বেসরকারি রকেট হিসেবে আকাশে গিয়ে ইতিহাস তৈরি করল ‘বিক্রম-এস’। ঐতিহাসিক এ মুহূর্তে আমাদের সঙ্গে থাকায় আপনাদের ধন্যবাদ।’

উৎক্ষেপণের পর এটি ওপরের দিকে ৮৯ দশমিক ৫ কিলোমিটার উড়েছে এবং সব মানদণ্ড পূরণ করেছে। ফ্লাইটের একটি ইউটিউব লিংক জুড়ে দিয়ে এমনটাই বলেছে হায়দরাবাদভিত্তিক ওই স্টার্ট-আপ।

ইসরো সূত্রের বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের পর ‘বিক্রম-এস’ সফলভাবেই নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে যায়।
রকেটটির নির্মাতা সংস্থার সিইও পবনকুমার চন্দানা চলতি মাসের শুরুর দিকে বলেছিলেন, তাদের রকেট নির্মাণের কাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে। নভেম্বরের ১২ থেকে ১৬ তারিখের মধ্যে রকেটটি উৎক্ষেপণের সম্ভাব্য তারিখও জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ইঞ্জিনের খুঁটিনাটি পরীক্ষার কারণে ওই সময়সীমা খানিকটা পিছিয়ে দেয়া হয়।

শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সকালে অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের লঞ্চ প্যাড থেকে লক্ষ্যপথে ছুটে যায় রকেটটি। শ্রীহরিকোটা মহাকাশবন্দর চেন্নাই থেকে ১১৫ কিলোমিটার দূরে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের জুনে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি বেসরকারি খাতে স্পেস সেক্টরকে উš§ুক্ত করে দেন। সরকার তখন বলেছিল, ‘এটি মেক-ইন-ইন্ডিয়া প্রকল্পের জন্য বড় একটি বিপ্লব। অর্থাৎ ব্যক্তিমালিকানায় দেশটির স্পেস খাতকে ছড়িয়ে দেয়ার বিষয়কে মোদি সরকার ‘নতুন ভারত’-এর জন্য সবচেয়ে বড় বিপ্লব বলে আখ্যায়িত করেছে। এর পর থেকে বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসেন।