Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 6:55 pm

মহাকাশে রাশিয়ার সঙ্গে থাকতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালেও রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থার সঙ্গে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্র। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন-সংক্রান্ত কাজে যুদ্ধের প্রভাব পড়বে না। খবর: সিএনএন।

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক বিবৃতির বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়, ইউক্রেনে যুদ্ধ চললেও রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের সঙ্গে কাজ চলবে। চলতি মাসের শেষের দিকে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন (আইএসএস) থেকে রুশ মহাকাশযানে চেপে পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা-মাফিক এক মার্কিন নভোচারী পৃথিবীতে ফিরে আসবেন।

বিবৃতিতে নাসা আরও জানায়, প্রযুক্তি-সংক্রান্ত রপ্তানির ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বেসামরিক মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা প্রভাবিত হবে না। কক্ষপথ ও গ্রাউন্ড স্টেশনগুলোয় যেভাবে কাজ চলছে, তা অব্যাহত থাকবে। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে রাশিয়াসহ সব সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করবে নাসা।

কয়েক দিন আগে রাশিয়া স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়তে পারে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে। সম্প্রতি রসকসমসের প্রধান দিমিত্রিয় রোগোজিন জানান, আর্থিক নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণায় প্রভাব ফেলবে। মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণে প্রভাব পড়বে, যার জেরে যে কোনো সময় ভেঙে পড়তে পারে স্পেস স্টেশনের একাংশ। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এ ঘটনা ঘটবে। তাই রোগোজিনের হুশিয়ারি, রাশিয়ার ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর আগে পশ্চিমা দেশগুলোর ভেবে দেখা উচিত।

স্পেস স্টেশনে রাশিয়ার অংশ এই গবেষণাগারের কক্ষপথ ঠিক রাখার কাজ করে। নাসার ঘোষণায় এটা স্পষ্ট যে, আপাতত মস্কোর মদত ছাড়া স্পেস স্টেশনে কাজ চালানো সম্ভব নয়।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে যুদ্ধ চলছে দুই দেশের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে জব্দ করতে ও রাশিয়াকে কোণঠাসা করতে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), অস্ট্রেলিয়া, জাপানসহ একাধিক দেশ। এরই মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে ওয়াশিংটন। রাশিয়ার কয়েকটি ব্যাংককে আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনের ‘সুইফট’ ব্যবস্থা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে প্রযুক্তিগত সহায়তা। এ কারণে ব্যাংকগুলো বিশ্বে আর কাজ করতে পারছে না। রাশিয়ার আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে।