শেয়ার বিজ ডেস্ক: চীন আগামী বছরগুলোয় তাদের মহাকাশ স্টেশনটি দ্বিগুণ বড় করার পরিকল্পনা করছে। বিকল্প প্ল্যাটিফর্ম হিসেবে স্টেশনটি ব্যবহার করতে চায় চীন। খবর: সিএনএন।
আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে গত বুধবার ৭৪তম ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনটিক্যাল কংগ্রেসে চীনের প্রধান মহাকাশ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না একাডেমি অব স্পেস টেকনোলজি (সিএএসটি) জানিয়েছে, চাইনিজ মহাকাশ স্টেশনের স্থায়িত্বকাল হবে ১৫ বছরের বেশি।
চীনে নির্মিত মহাকাশ স্টেশন তিয়ানগং বা সেলেস্টিয়াল প্যালেস নামে পরিচিত, যা ৪৫০ কিলোমিটার (২৮০ মাইল) পর্যন্ত উচ্চতার কক্ষপথে সর্বাধিক তিনজন নভোচারী বহন করতে পারে। এটি ২০২২ সালের শেষের দিকে সম্পূর্ণরূপে চালু করা হয়। তিনটি মডিউলসম্পন্ন স্টেশনটিতে ২০৩০ সালের মধ্যে আরও তিনটি মডিউল যোগ করবে দেশটি।
অন্যদিকে নাসার আইএসএস সাত নভোচারীকে বহন করতে পারে। দুই দশকের বেশি সময় ধরে মহাকাশে থাকা আইএসএস ২০৩০ সালের পরে অকার্যকর হয়ে যাবে।
গত বছর চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছিল, আইএসএস অকেজো হওয়ার পর তিয়ানগংয়ের ব্যবহার বাড়বে।
বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নভোচারীকে চীনের স্টেশনে পাঠাতে বলেছে। তাদের প্রত্যাশা উপেক্ষা করে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ) চলতি বছর বলেছে, তারা তিয়ানগংয়ে অংশ নেয়ার জন্য বাজেট বা রাজনৈতিক সবুজ সংকেত পায়নি।
তিয়ানগং মহাকাশ অভিযানে চায়নার ক্রমবর্ধমান প্রভাব এবং আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। আইএসএস থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে এই ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী নাসার সঙ্গে তিয়ানগংয়ের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো সহযোগিতা নিষিদ্ধ।
আইএসএসে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে রাশিয়ারও একই ধরনের মহাকাশ কূটনীতি পরিকল্পনা রয়েছে। রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমস গত বছর জানায়, তারা ছয়টি অংশ নিয়ে একটি স্পেস স্টেশন তৈরির পরিকল্পনা করছে, যাতে চারজন মহাকাশচারী থাকতে পারবেন।
ব্রিকস গ্রুপে মস্কোর অংশীদার ব্রাজিল, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের মহাকাশ স্টেশনের জন্য একটি পরিকল্পনা তৈরি করতে পারে।