নিজস্ব প্রতিবেদক: নিম্ন ও স্বল্প আয়ের মানুষ প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছে খাদ্য ও চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার থেকে। রাজধানীর এসব নিম্ন ও স্বল্প আয়ের মানুষদের নিয়মিত বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা ও খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। বর্তমানে ডেঙ্গু সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য এ স্বল্প আয়ের পরিবারের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে বিনা মূল্যে ১০ হাজার মশারি ও ওষুধ বিতরণ কার্যক্রম চলছে। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল রাজধানীর মহাখালী ওয়্যারলেস গেট মডেল স্কুলে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসা সহায়তা পরিচালনা করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। রিকশা ও ভ্যানচালক, ফেরিওয়ালা ও ফুটপাতের ছোট দোকানদাররা এ চিকিৎসা সুবিধা পেয়ে থাকেন। বেলা ১১টায় শুরু হয়ে ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাসেবা চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
এ কর্মসূচি সমন্বয় করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু। চিকিৎসাসেবা দেন গণস্বাস্থ্যের ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসাসেবার প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. শওকত আরমান, চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ডা. নুসরাত স্বাস্থ্যকর্মী আঁখি আক্তার, প্যাথলজিস্ট পুষ্প আক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী আইরিন সুলতানা, মৌসুমী আক্তার প্রমুখ।
জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন, রিকশাচালক, ভ্যানচালক, হকার ও ফুটপাতের স্বল্প আয়ের যারা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে ‘গণ স্বাস্থ্যবিমা’ করেছেন তাদের এলাকায় গিয়ে সপ্তাহে এক দিন বিনা মূল্যে অভিজ্ঞ ডাক্তাররা চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। যাদের গণস্বাস্থ্য বিমা নেই, তারা মাত্র ২০ টাকা ডাক্তারের চিকিৎসা ফি দিয়ে চিকিৎসাসেবা নিতে পারবেন।
গণস্বাস্থ্যের ‘গণ স্বাস্থ্যবিমা’ বাংলাদেশের চিকিৎসা অঙ্গে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক উল্লেখ করে জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন, যেসব স্বল্প আয়ের মানুষ পরিবার নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছেন, সেসব পরিবার মাসে মাত্র ২০০ টাকা চাঁদার মাধ্যমে গণস্বাস্থ্য থেকে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। তাদের জন্য সাপ্তাহিক সহনীয় স্বল্প টাকার কিস্তিতে সোলার বিদ্যুৎচালিত রিকশা ও ভ্যান গাড়ি বিতরণ করা হবে। বর্তমানে ডেঙ্গু সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য স্বল্প আয়ের পরিবারের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ সিটিতে ১০ হাজার মশারি ও ওষুধ বিতরণের কার্যক্রম চলছে।