মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের চেতনায় আগামীর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নযাত্রা

মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী: দীর্ঘ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণে নিষ্পেষিত বাঙালি জাতির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে তাঁর নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে লাখো বাঙালি। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামে ৩০ লাখ শহিদের জীবন উৎসর্গের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর জাতি বিজয় লাভ করে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূলমন্ত্র ছিল রাজনৈতিক আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারের সঙ্গে অর্থনৈতিক মুক্তি। অর্থনৈতিক বঞ্চনা ও পশ্চাৎপদতা থেকে মুক্তিই রাজনৈতিক স্বাধীনতাকে পূর্ণাঙ্গতা দিতে সক্ষম। বঙ্গবন্ধু এ উপলব্ধি থেকে বাংলাদেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত অবকাঠামোর ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশ বিনির্মাণের গুরুদায়িত্ব গ্রহণ করেন। সদ্য স্বাধীন দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধুকে সবকিছু নতুনভাবে শুরু করতে হয়। স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে তিনি জাতিকে উপহার দেন সংবিধান, যা বিশ্বে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংবিধান হিসেবে পরিচিত। এই সংবিধান ছিল দেশ গড়ার, মানুষের জীবনমান উন্নয়নের ও সমৃদ্ধির পথে দেশকে এগিয়ে নেয়ার একটি পূর্ণাঙ্গ দলিল। এই সংবিধানে বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ছিল। তিনি ছিলেন গণমানুষের নেতা দেশের প্রত্যন্ত গ্রাম ও শহরের জনমানুষের সঙ্গে ছিল তাঁর আত্মার সম্পর্ক। তাঁর সার্বিক উন্নয়ন চিন্তা-ভাবনার মধ্যেই এর প্রতিফলন খুঁজে পাওয়া যায়। যেমনটি দেখা যায় ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া বক্তৃতায়Ñ‘আমরা বাংলাদেশের মানুষ। আমাদের মাটি আছে, আমার সোনার বাংলা আছে, আমার পাট আছে, আমার গ্যাস আছে, আমার চা আছে, আমার ফরেস্ট আছে, আমার মাছ আছে, আমার লাইভস্টক আছে। যদি ডেভেলপ করতে পারি, ইনশাআল্লাহ এদিন থাকবে না।’

বঙ্গবন্ধুর এই বিদগ্ধ অভিজ্ঞতা ও অর্থনৈতিক দর্শন প্রকাশ পায় পরবর্তী সাড়ে তিন বছর দেশ পরিচালনায় গঠনমূলক কার্যক্রমে।

স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অতি অল্প সময়ের মধ্যে দেশ গঠনের জন্য ব্যাপক কর্মযজ্ঞ শুরু করেন। জাতীয় প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশে উন্নীত করেন। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৯৪ মার্কিন ডলার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর যুগান্তকারী নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে মাথাপিছু আয় ১৯৭৫ সালে ২৭৮ মার্কিন ডলারে উন্নীত করেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে তিনি বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শক্ত ভিত তৈরি করে দিয়ে যান। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর দেশ পরিচালনার সূচনালগ্ন কুসুমাস্তীর্ণ ছিল না। আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী অংশ বাংলাদেশকে ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে অভিহিত করে এবং বাংলাদেশ বৈদেশিক সাহায্য ছাড়া চলতে পারবে না বলে ভবিষ্যদ্বাণী করে। দীর্ঘ ৯ মাসের নজিরবিহীন রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে ছিল না কোনো অবকাঠামো ও সম্পদ। পুরো বাংলাদেশ ছিল একটি ধ্বংসস্তূপ চারদিকে ছিল শুধু হাহাকার। বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের দরিদ্রতম ১০টি দেশের একটি। বাংলাদেশের  ৮০ শতাংশের ওপর মানুষ দরিদ্র ছিল এবং বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীলতাও ছিল ৮৮ শতাংশ। বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের ফলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দেশ ও দেশের অর্থনীতি নিমজ্জিত হয় এক গভীর অন্ধকারে, থেমে যায় জাতির পিতার সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণ।

বঙ্গবন্ধুর অন্তর-মন প্রোথিত স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাণ্ডারি তাঁর রক্তের উত্তরাধিকার আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে তলাবিহীন ঝুড়ি হতে বাংলাদেশের উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হওয়ার ইতিহাসের প্রতি। দেশের মানুষের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার গঠন করে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কাজে মনোনিবেশ করে উম্মুক্ত করেন সম্ভাবনার এক নতুন দিগন্ত। পরিকল্পিত উন্নয়নের মাধ্যমে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নপূরণে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সবার জন্য উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। আমাদের উন্নয়ন ভাবনার মূল দর্শন হচ্ছে কেউই  পেছনে পড়ে থাকবে না (No one will leave behind);সার্বিক সমাজ বিকাশ (Whole of society approach); প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা গতিশীল অর্থনীতির একটি দেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক অনেক ক্ষেত্রেই বিশ্ববাসীকে আলোকবর্তিকা হাতে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রা এবং এ ক্ষেত্রে অর্জন সারাবিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। পৃথিবীর অনেক আন্তর্জাতিক গবেষণা ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত সংস্থা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বিস্ময়কর এবং অনুকরণীয় বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে এক বিস্ময়। বাংলাদেশ এখন ঋণগ্রহীতা থেকে ঋণদাতা হিসেবে নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়েছে। বাংলাদেশের পণ্য এখন বিশ্বের ২০৫টি দেশে রপ্তানি হয়। এ দেশের পতাকাবাহী জাহাজ বিশ্বের বিভিন্ন বন্দরে পণ্য পৌঁছে দিচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন আজ বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

যুক্তরাজ্যের গবেষণা প্রতিষ্ঠান Centre for Economics and Business Research (CEBR) সাম্প্রতিক রিপোর্টে বলেছে, ২০৩০ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বে ২৮তম অর্থনীতির দেশ এবং ২০৩৫ সালে হবে বিশ্বে ২৫তম অর্থনীতির দেশ।  ২০২০ সালে ‘দি ইকোনমিস্ট’ ম্যাগাজিন এক প্রতিবেদনে চারটি মানদণ্ডের ভিত্তিতে, যথা মোট জিডিপির বিপরীতে সরকারি ঋণের অনুপাত, মোট বৈদেশিক ঋণ, ঋণের সুদ ও বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ভিত্তিতে ৬৬টি উদীয়মান সফল অর্থনীতির দেশের তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় বাংলাদেশ নবম স্থানে অবস্থান করছে। এক সময়কার বিশ্বের দরিদ্রতম ১০টি দেশের অন্যতম বাংলাদেশ আজ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ব্রিটেনের অর্থনৈতিক গবেষণা সংস্থার সেন্টার ফর ইকোনমিক অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের (সিইবিআর) মতে, অর্থনৈতিক বিকাশ অব্যাহত থাকলে ২০৩৫ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।

এবার নজর দেয়া যাক, ১৯৭১ সালে আমরা কোনো অবস্থানে ছিলাম আর বর্তমানে আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থান কেমনÑসে বিষয়টির ওপর।

১৯৭১ সালে অর্থনীতির আকার ছিল দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১ সালে এসে ৪১৬ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ঋণাত্মক পাঁচ দশমিক ৪৮ শতাংশ, যা ২০২১ সালে এসে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে (২০১৮-১৯ অর্থবছরে আট শতাংশ অতিক্রম করে)।

১৯৭১ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল দুই কোটি ডলার, যা ২০২১ সালে এসে ৪৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭১ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ১২৯ ডলার, যা ২০২১ সালে এসে দুই হাজার ৫৯১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭১ সালে আমদানি ছিল ২৮ কোটি ডলার, যা ২০২১ সালে এসে ৫৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭১ সালে রপ্তানি ছিল শূন্য দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২১ সালে এসে ৩৮ বিলিয়ন দাঁড়িয়েছে। ১৯৭১ সালে কর আদায় (লক্ষ্য) ছিল ২৫০ কোটি ৭১ লাখ, যা ২০২১ সালে এসে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি দাঁড়িয়েছে। ১৯৭১ সালে রেমিট্যান্স ছিল ৮০ লাখ ডলার, যা ২০২১ সালে এসে ২০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

১৯৭১ সালে বাজেটের আকার ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা, যা ২০২১ সালে এসে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটিতে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকা সড়ক ছিল ৩ হাজার ৬১০ কিমি, যা ২০২১ সালে এসে ২২ হাজার কিমি দাঁড়িয়েছে। ১৯৭১ সালে শিক্ষার হার ছিল ২০.৯ শতাংশ, যা ২০২১ সালে এসে ৭২.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

১৯৭১ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৪০০ মেগাওয়াট, যা ২০২১ সালে এসে ২৪ হাজার মেগাওয়াটে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭১ সালে খাদ্য উৎপাদন ছিল ১ কোটি ৮ লাখ টন, যা ২০২১ সালে এসে ৪ কোটি ৫৪ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ একটি প্রত্যয়ী ও মর্যাদাশীল দেশ। বাংলাদেশের জš§ হয়েছিল শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন নিয়ে। বাংলাদেশের মানুষ বেশ আবেগতাড়িতÑএ আবেগকে কাজে লাগিয়ে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করলে যে এগোনো যায়, গত দশকের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক যাত্রার গতি-প্রকৃতি লক্ষ করলে তা সহজেই অনুধাবন করা যায়। আমরা পারব ও পারিÑএ বিশ্বাস হƒদয়ে গেঁথে ধারাবাহিক শ্রমের ফসল আজকের বাংলাদেশ। “আমাদের উন্নয়নের একটি মানবিক অবয়ব রয়েছে। দারিদ্র্য ও ঝুঁকির মধ্যে থাকা জনগোষ্ঠীর জীবন-মানের উন্নয়ন আমাদের উন্নয়ন কার্যক্রমের মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্য অর্জনে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অন্যতম নিয়ামক হিসেবে ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর সুবিধা আজ শহর থেকে প্রান্তিক পর্যায়ে বিস্তৃত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য, মানুষে-মানুষে যোগাযোগ, আর্থিক খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার টেলিমেডিসিন সেবা, শিক্ষা ও কৃষিতে প্রযুক্তির ব্যবহার মানুষকে স্বাবলম্বী করেছে, তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। কভিড মহামারির কারণে ২০২০ সালে আমাদের অর্থনীতিতে স্থবিরতা নেমে এসেছিল। বাংলাদেশের অর্থনীতিও ক্ষতিতে পড়েছে। তবে বিভিন্ন নীতি-সহায়তা এবং বিভিন্ন উদারনৈতিক আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়ার মাধ্যমে সরকারের বিচক্ষণ পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে অর্থনীতি ইতোমধ্যে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।

উন্নয়ন অভিযাত্রার সফলতার পথ ধরে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পরপর দুবার জাতিসংঘের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক কাউন্সিলের উন্নয়ন নীতিমালাবিষয়ক কমিটির দেশে উত্তরণের প্রয়োজনীয় শর্তাবলি যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে পেরেছে। এর স্বীকৃতি স্বরূপ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ বাংলাদেশ ৫ বছরের প্রস্তুতিকালসহ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। সমগ্র জাতির জন্য স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তীতে এটি একটি অনন্য উপহার। উল্লেখ্য, যেটি ৩ উত্তরণের জন্য নির্ধারিত মানদণ্ডের সবগুলোতেই প্রয়োজনীয় যোগ্যতা প্রদর্শনকারী একমাত্র দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ; যা এক ঐতিহাসিক মাইলফলক।

সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি এবং তাঁদের জীবনমানের উন্নয়নসহ সকলের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে আলোকবর্তিকা নিয়ে জাতির পিতার দেখানো পথে দেশের মানুষের জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের সকলের প্রাণপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর প্রতি আমাদের অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা। তিনি ২০০৯ সালে জাতিকে উপহার দিয়েছিলেন যুগান্তকারী রূপকল্প-২০২১। আর ওই রূপকল্পের হাত ধরে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে রূপকল্প ২০৪১ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে বর্তমান সরকার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও কর্মপরিকল্পনা নিয়ে দেশ পরিচালনা করছে। ইনশাল্লাহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে।

যুগ্ম সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০