শাহরিয়ার সিফাত: স্পেনের করদোভা নগরীর আদলে জমিদার বাড়িটি প্রতিষ্ঠিত হয় উনবিংশ শতাব্দীতে। নাম মহেরা জমিদার বাড়ি। এটি টাঙ্গাইলে অবস্থিত।
মহেরা জমিদার বাড়িটি দর্শনার্থীদের মন আকৃষ্ট করে। বাড়িটি এক হাজার ১৭৪ শতাংশ জমির ওপর অবস্থিত। জমিদার বাড়িটি তিনটি স্থাপনা নিয়ে তৈরি। প্রতিটি স্থাপত্যই কারুকার্যময়। এসব কারুকার্য দেখলেই মন জুড়িয়ে যায়।
জমিদার বাড়িটির সামনেই রয়েছে ‘বিশাখা সাগর’ নামে বিশাল এক দীঘি। বাড়িতে প্রবেশের জন্য রয়েছে দুটি সুরম্য গেট। ভবনের পেছনের অংশে রয়েছে পাসরা ও রানী পুকুর। বিশাখা সাগর সংলগ্ন দক্ষিণ পাশে রয়েছে বিশাল আম্রকানন। বাড়ির ভেতরের দিকে বিশাল খাঁচায় আজও বিভিন্ন রকম পাখি পোষা হয়। বাড়িটির শোভাবর্ধনে রয়েছে ফুলের বাগান।
স্বাধীনতাযুদ্ধে পাকবাহিনী মহেরা জমিদার বাড়িতে হামলা করে। জমিদারদের
পুত্রবধূসহ পাঁচ জন গ্রামবাসীকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। আর জীবিতরা নদীপথে এ দেশ ত্যাগ করেন। এরপর এখানে মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। ১৯৭২ সালে বাড়িটি পুলিশ ট্রেনিং স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৯০ সালে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলকে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে উন্নীত করা হয়।
যাতায়াত ব্যবস্থা
রাজধানীর গাবতলী বা মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে বাসে অনায়াসে যেতে পারবেন। টাঙ্গাইলে পৌঁছানোর আগে মির্জাপুরের নাটিয়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। সেখান থেকে সিএনজিচালিত ট্যাক্সিযোগে জমিদার বাড়ির ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ২০ টাকা।
টাঙ্গাইল
Add Comment