প্রতিনিধি, কক্সবাজার : কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নে নুরুল কবির (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে বাড়ির ভেতর ঢুকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তার পুত্র নুরুল আবছারকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করা হয়। সে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়নের বাংলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নুরুল কবির ওই গ্রামের মৃত জেবর মুল্লুখের পুত্র বলে জানা গেছে।
মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সরওয়ার কামাল জানান, বাড়িতে ঢুকে পর পর দুইটি দরোজা ভেঙ্গে বাড়ির তৃতীয় কক্ষে ঢুকে এই ব্যক্তিকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। ঘটনায় বাড়িটি ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এ সময় নিহতের এক সন্তানকেও কুপিয়ে আহত করা হয়।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে- মাতারবাড়ি বাংলা বাজার এলাকায় পাবলিক স্কুলের পাশে একটি পুকুর ও পুকুরের পাড়ের জমি নিয়ে স্থানীয় দুইটি গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘ দিন থেকে বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধ অন্ততঃ ৩০-৪০ বছর এর পুরানো। পুকুরের পাড়ে রয়েছে দুইটি বাড়ি, বাড়িগুলো ভাড়া দেওয়া হয়। সম্প্রতি এই বাড়ির ভাড়া গ্রহণ নিয়ে দুই পক্ষ বেশ বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এই বিরোধের সূত্র ধরে শুক্রবার রাতের প্রথমার্ধে আয়ুব আলী নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন। ওই লোক আহত হলেও পুলিশ ও জনপ্রতিনিধের কাছে কোনো তথ্য না দিয়ে অনেকটা গোপনে রাতের আধারে তাকে চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হামলায় ওই ব্যক্তির একটি হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়লেও হাত বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি কতোটুকু সত্য তা জানা যাচ্ছে না।
তারা আরো জানিয়েছেন, এই ঘটনার কিছু সময়ের ভেতরই আহত আয়ুব আলীর আত্মীয় স্বজন দলবল নিয়ে এসে আয়ুব আলীর উপর হামলার অভিযোগ প্রতিপক্ষের নুরুল কবির নামের এক ব্যক্তির বাড়ি ভাংচুর করতে থেকে। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা বাড়ির দরোজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে এবং বাড়ির লোকজন খুঁজতে থাকো। এ সময় পর পর বাড়ির দুইটি দরোজা ভেঙ্গে বাড়ির তৃতীয় কক্ষে ঢুকে বাড়ির মালিক নুরুল কবিরকে নির্মম ভাবে কুপিয়ে খুন করে। তার মাথাতেই মূলতঃ কোপানো হয়।
মাতারবাড়ি পুলিশ ক্যাম্পের আইসি মুহাম্মদ হাসান জানান, নিহত ব্যক্তির পুত্র নুরুল আবছার রাত ১১টায় ফোন করে তাদের উপর হামলার বিষয়টি জানান। এর পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নুরুল কবিরের মৃতদেহ উদ্ধার করে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রনব চৌধুরী জানিয়েছেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা দমন করা হবে।