প্রতিনিধি, কক্সবাজার: কক্সবাজারের মহেশখালীতে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন সড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। গোরকঘাটা থেকে শাপলাপুর জনতাবাজার পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটারের সড়কটির কাজ চলতি বছরের ২৪ ফ্রেব্রুয়ারিতে শুরু হয়। আগামী বছরের ১১ আগস্ট সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হবে।
স্থানীয়রা জানান, সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হলে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের কাছেও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। গোরকঘাটা শাপলাপুর জনতা বাজার সড়কের একটি বড় অংশ চিরসবুজ পাহাড়ের এলাকা ধরেই চলে যায়। এ অংশটিই মূলত পর্যটকদের নজর কাড়বে। সরকার পরিকল্পনা নিলে সড়কটিকে ঘিরে পর্যটন স্পট করারও সুযোগ রয়েছে।
মহেশখালী এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, নির্মাণাধীন সড়কটির কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডেল্টা ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনসরটিয়াম এরই মধ্যে তাদের ২৫ ভাগ নির্মাণকাজ শেষ করেছে। পুরো সড়কটিতে ছোট-বড় ১৫টি কালভার্ট রয়েছে। তার মধ্যে পাঁচটির কাজ শেষ হয়েছে।
আরও জানা যায়, ১২ ফুট প্রস্থের সড়কটিকে বর্ধিত করে কার্পেটিং অংশে ১৬ ফুট এবং ঢালাই অংশে ১৮ ফুট করা হচ্ছে। এছাড়া সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করে গাইডওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। অন্যদিকে চালকদের সুবিধার্থে রাস্তার পাশে রঙিন সংকেত ব্যবহার করার পরিকল্পনাও হাতে নেয়া হয়েছে।
মহেশখালী উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার জানান, সড়কে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজ নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। আশা করছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সড়কের কাজ শেষ হবে।
এদিকে শাপলাপুর ইউপি সদস্য আব্দুচ্ছালাম জানান, সড়কটির কাজ শেষ হলে শাপলাপুরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। কম সময়ে পুলিশ টহল এলাকায় পৌঁছাতে পারবে।
ছোট মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়ান সিকদার জানান, সড়কটি নির্মাণে পাহাড় কাটা হবে না। সড়কের প্রস্থ বাড়ানোর জন্য দুই পাশে পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। সড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হলে এটি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
এই বিষয়ে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, গোরকঘাটা জনতাবাজারের সড়কের কাজ শেষ হলে প্রধান সড়কের ওপর চাপ কমবে। আর পাহাড়ি সড়কটি দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠবে এবং পর্যটনশিল্পের বিকাশ ঘটবে। মহেশখালীতে চলমান উন্নয়ন কাজগুলো শেষ হলে এখানকার মানুষের জীবনমান ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
