Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 5:40 pm

মহেশখালীতে ৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সড়ক নির্মাণ

এস এম রুবেল, কক্সবাজার : দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে পড়ে থাকা মহেশখালী পৌরসভার চৌরাস্তা মোড় থেকে ঘোনাপাড়া হয়ে কুতুবজোমের ঘটিভাঙ্গা প্রধান সড়কটির অবশিষ্ট কাজ শুরু হবে শিগগিরই। প্রায় ৯ কিলোমিটারের এই সড়কটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। চার ভাগে বিভক্ত করে সড়কটির নির্মাণ কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরই মধ্যে দুই ভাগ অংশের কাজ শেষ হয়েছে। কাজের অনুমোদন হয়েছে আরও এক অংশের। আর আগামী এক মাসের মধ্যেই শুরু হবে বাকি অংশের কাজ। এটির জন্য এরই মধ্যে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। সড়কটির সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে এখানকার মানুষের।

উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিস সূত্রে জানা গেছে, মহেশখালী পৌরসভার চৌরাস্তার মোড় থেকে ঘটিভাঙ্গা সড়কের ৮ হাজার ৫ শত ৪৫ মিটার রাস্তার মধ্যে ৩ হাজার ৫০০ মিটার রাস্তার কাজ কিছুদিন আগে শেষ হয়েছে। যার ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। কয়েকদিন আগে ৩ হাজার ৫০০ মিটারের পর থেকে ৫ হাজার ১০০ মিটার পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের কাজ অনুমোদন হয়েছে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। পাশাপাশি ৫ হাজার ১০০ মিটারের পর থেকে ৮ হাজার ১০০ মিটার পর্যন্ত রাস্তার কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যার মূল্য ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এছাড়া ৮ হাজার ১০০ মিটার থেকে ৮ হাজার ৫৪৫ মিটার পর্যন্ত রাস্তার আরসিসি উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ কাজে ব্যয় হয়েছে ৯৫ লাখ টাকা।

উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার জানান, ইতোমধ্যে সড়কের দুটি অংশের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। একটি অংশের কাজ দ্রুত শুরু হবে। আর দরপত্র হওয়া অংশটির বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওয়ার্ক অর্ডার আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। সড়কের কাজ টেকসই করার জন্য ঠিকাদারদের কাজ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি আরও জানান, রাস্তার প্রস্থ হবে ১২ ফুট। এছাড়া যেখানে পানি জমবে সেখানে ঢালাই এবং ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি বেড়িবাঁধ অংশে টেকসই কাজ করা হবে।

এলাকাবাসী জানান, সড়ক নির্মাণকাজ শুরু হওয়া নিঃসন্দেহে আনন্দের। কিন্তু এ সড়ক নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে এলাকার লোকজন কষ্ট পাচ্ছে। বিশেষ করে কুতুবজোমের বটতলা বাজারের পাশে এবং চাদাকাটা গ্রাম ও তাজিয়াকাটা গ্রামের মধ্যবর্তী রাস্তার অংশটি অতিরিক্ত ভাঙা হওয়ার কারণে দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। তারা আরও জানান, আগামী বর্ষা মৌসুম আসার আগেই যদি সড়ক নির্মাণের কাজ শেষ করা যায় তবে জনসাধারণ উপকৃত হবে। অন্যথায় বর্ষায় যেমনটি নির্মাণকাজ বাধাগ্রস্ত হবে, তেমনটি জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বাড়বে।

অন্যদিকে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক জানিয়েছেন, জনগণের কথা বিবেচনা করে এলাকার বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণে সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে। মহেশখালীর মানুষের জীবনমান পরিবর্তনে উন্নয়নমূলক কাজ চলমান। পর্যায়ক্রমে আরও করা হবে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে মহেশখালীতে অভাবনীয় উন্নয়ন হবে। ইতোমধ্যে অনেক কাজ দৃশ্যমান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই মহেশখালীর খোঁজ খবর রাখেন।