ক্রীড়া ডেস্ক : ন্যু ক্যাম্পে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ-এফের ম্যাচে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৩-১ গোলে গত পরশু হারিয়েছে বার্সেলোনা। যে ম্যাচটি আবার কাতালানদের জার্সিতে লিওনেল মেসির ৭০০তম ম্যাচ। এমন মাইলফলকের ম্যাচে মাঠে নেমে মেসি ইউরোপ সেরার ইতিহাসে নতুন এক বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন। নিজে গোল করেছেন। আবার দুই সতীর্থের গোলে রেখেছেন অবদান। এর ফলে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও রাউল গঞ্জালেসকে টপকে গেছেন আর্জেন্টিনার এ ফরোয়ার্ড।
চ্যাম্পিয়নস লিগে এখন পর্যন্ত মোট ৩৪টি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গোল করেছেন মেসি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে বেশি প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে গোল করার বিশ্বরেকর্ড। এর আগে রোনালদো ও রাউল ৩৩টি প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছিলেন।
গত পরশু ম্যাচের ২৯তম মিনিটে সুয়ারেজকে অসাধারণ এক পাস দেন মেসি। সে সুযোগে উরুগুয়ের এ ফরোয়ার্ড নিখুঁত ফিনিশিংয়ের জালের দেখা পান। এর মিনিট চারেক পর মেসি নিজেও বল জালে জড়ান। এবার গ্রহের অন্যতম সেরা ফুটবলারকে বলের জোগান দেন সুয়ারেজই। সঙ্গে সঙ্গে কিং লিও গড়েন চ্যাম্পিয়ন লিগে নতুন এক রেকর্ড। এদিকে ম্যাচের ৬৭ মিনিটে ফের গোল হজম করে বসে অতিথিরা। এবার ডর্টমুন্ড সমর্থকদের বুকে ছুরি চালান গ্রিজমান। মেসি যে পাস তাকে সে সময় দেন, তা এককথায় চোখে লেগে থাকার মতো। এরপর ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে অতিথিদের হয়ে ব্যবধান কমান জেডন সানচো।
মেসির আগে বার্সেলোনার হয়ে একমাত্র জাভি খেলেছেন ৭০০ ম্যাচ। কাতালানদের জার্সিতে তার মোট ম্যাচ ৭৬৭টি। সেই নিরিখে মেসি রয়েছেন দ্বিতীয় স্থানে, যদিও ক্লাবের হয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ড এরই মধ্যে নিজের দখলে রেখেছেন তিনিই। বরুশিয়ার বিরুদ্ধে গোলের পর বার্সার হয়ে কিং লিওর অফিশিয়াল গোলসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১৩টি। যদিও বেসরকারি গোলগুলো মিলিয়ে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৪৮টি।
