ইমাম জাফর, মাগুরা: মাগুরায় ব্যাপকভাবে আমের মুকুল দেখা দিয়েছে। আমচাষিরা আশা করছেন, বাম্পার ফলন হবে এবার। তবে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ আম চাষের তেমন কোনো তথ্য দিতে পারেনি। কেবল প্রতি হেক্টরে ২০ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হবে বলে দায় সারে।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় আমের বাগান গড়ে উঠছে। বিশেষ করে ফজলি, ল্যাংড়া, হিমসাগর, আম্রপালি, গোপালভোগ, বোম্বাই, লাখনাই, তোষা প্রভৃতি জাতের আমের আবাদ হয় মাগুরায়। জেলার শত্রুজিৎপুর, বিনোদপুর, কুচিয়ামোড়া, ইছাখাদা, নড়িহাটি, হাজরাপুর, রাঘবদাইড়. খালিমপুর, আলাইপুর, হাজীপুর, রাওতড়া, কাশীনাথপুর, বরিশাট, বারইপাড়া, শ্রীকোল, নকোল, কোমলাপুর ও কানুটিয়া গ্রামে আমের বাগান গড়ে উঠছে।
আমচাষিরা এবার আমের মুকুলের ব্যাপকতায় রঙিন স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু চাষিদের পরিচর্যা জ্ঞান না থাকা এবং কৃষি বিভাগের বিশেষ কোনো ভূমিকা না থাকায় শেষ পর্যন্ত আমের ভালো ফলন হয় না। চাষিদের প্রকৃতির ওপর নির্ভর করতে হয়, হতে হয় ক্ষতির সম্মুখীন। মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগে আম চাষের ওপর তথ্য সংগ্রহে গেলে তারা কোনো তথ্য দিতে পারেনি, কেবল গদবাঁধাভাবে বলে প্রতি হেক্টরে ২০ মেট্রিক টন আম উৎপাদিত হবে।
মাগুরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়, জেলার চার উপজেলায় এক হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৫০ হেক্টর, শ্রীপুরে ৪৫০ হেক্টর, মহম্মাদপুরে ১৫০ হেক্টর এবং শালিখা উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়। হেক্টরপ্রতি আম উৎপাদন হয় ২০-২১ টন, যদিও এ তথ্য দীর্ঘদিন আগের। সে তথ্য নিয়েই কৃষি বিভাগ হিসাবনিকাশ করছে।
সদরের আলাইপুর গ্রামের আমচাষি সিদ্দিক মোল্লা জানান, তার তিনটি আম বাগানে ৪৭০টি বিভিন্ন জাতের আমগাছ রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে দুই লক্ষাধিক টাকার আম বিক্রির আশা করছেন তিনি। রুহুল আমিন জানান, তার দুটি বাগানে ১৫০টি বিভিন্ন জাতের আমগাছে প্রচুর মুকুল এসেছে। বিপদ না হলে ৬০-৮০ হাজার টাকার আম বিক্রি করতে পারবেন।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা পার্থ প্রতিম সাহা জনান, তাদের কাছে ফুড় পাম্প রয়েছে। যে কোনো আমচাষি তাদের জানালে তারা স্প্রে করে দেবেন, তবে এ সময় বিষ স্প্রে করা ঠিক হবে না। কয়েকদিন পর আমের গুটি এলে গাছে পানি দিলে ভালো হবে।