শেয়ার বিজ ডেস্ক: মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়ায় জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি। তাই শহরটিকে মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাবের এপিসেন্টার বা উপকেন্দ্র বলে উল্লেখ করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। খবর: দ্য গার্ডিয়ান।
সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সতর্কতা জারির ফলে নিউইয়র্ক শহরের কর্মকর্তারা স্থানীয় স্বাস্থ্য কোডের অধীনে জরুরি আদেশ জারি করতে ও সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় যেকোনো ব্যবস্থা নেয়ার অনুমতি পাবেন। গত শনিবার মেয়র এরিক অ্যাডামস ও স্বাস্থ্য কমিশনার অশ্বিন ভাসান ঘোষণা দেন, নিউইয়র্ক সিটিতে প্রায় দেড় লাখ মানুষ মাঙ্কিপক্স সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন। এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা আরও টিকা সহজলভ্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা পাওয়া নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করে যাব। এই প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় জাতীয় ও বৈশ্বিক উভয়ভাবে জরুরি ব্যবস্থা নিতে হবে। আর আমাদের এই ঘোষণা সেই পরিস্থিতির গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে।
শুক্রবার পর্যন্ত নিউইয়র্কে এক হাজার ৩৪৫ জনের মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৯৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে। সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে গত বৃহস্পতিবার জরুরি সতর্কতা জারি করেছেন সানফ্রান্সিসকোর মেয়র।
গত ২৩ জুলাই মাঙ্কিপক্স প্রাদুর্ভাবের কারণে বিশ্বব্যাপী জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটির পক্ষ থেকে এটিই সর্বোচ্চ মাত্রার সতর্কতা। গত মে মাস থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ৮০টি দেশে ২২ হাজারের বেশি মানুষ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন। এতে ৭৫ জন মারা গেছেন আফ্রিকা মহাদেশে, যাদের বেশিরভাগ নাইজেরিয়া ও কঙ্গোর বাসিন্দা। আফ্রিকার বাইরে প্রথম গত শুক্রবার মাঙ্কিপক্সে একজন করে মারা যাওয়ার কথা জানায় ব্রাজিল ও স্পেন। গত শনিবার স্পেনে আরও একজন মারা গেছেন।
১৯৫৮ সালে ল্যাবরেটরিতে প্রথম বানরের দেহে এই ভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম দেখা দিয়েছিল বলে ১৯৭০ সালে এর নামকরণ হয় মাঙ্কিপক্স। এই ভাইরাসের দুটা স্ট্রেইন রয়েছে। কঙ্গো বেসিন স্ট্রেইন পশ্চিম আফ্রিকার স্ট্রেইনের চেয়ে বেশি মারাত্মক। এই ভাইরাস পশু থেকে প্রাণী এবং পশু থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়। মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণ সবচেয়ে ভয়ংকর মাধ্যম বলে বিবেচিত। ৯০ শতাংশ রোগী ১৫ বছরের কম বয়সী শিশু। গুটিবসন্তের টিকা বন্ধ করা এর একটি কারণ হতে পারে।
