শেয়ার বিজ ডেস্ক: উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছেন ৩২ জন। তাদের মধ্যে যুক্তরাস্ট্রের এক ও স্পেন-পর্তুগালে ৩২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। খবর: ইউএসএ টুডে।
যুক্তরাষ্ট্রের ঘটনায় জানা যায়, আক্রান্ত ব্যক্তি কয়েক দিন আগে কানাডা থেকে ফেরেন। এর পর থেকে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। সঙ্গে শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা। শরীরে মাংসপিণ্ড গজাতে শুরু করে। পরীক্ষার পর জানা যায়, তিনি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত। তাকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছে মেডিকেল টিম। জানা গেছে, কানাডার মন্ট্রিলের স্বাস্থ্য দপ্তর আরও ১১ জনকে নজরে রেখেছে। তাদের দেহেও তৈরি হয়েছে মাংসপিণ্ড। প্রয়োজনে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।
এদিকে স্পেন ও পর্তুগালে এই ভাইরাস মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে বলে জানায় দেশ দুইটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দুই দেশ মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৩২। মাঙ্কিপক্সে যুক্তরাজ্যেও একজন আক্রান্ত হয়েছেন। গত ৭ মে লন্ডনে প্রথম এক ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস পাওয়া যায়। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি নাইজেরিয়ায় গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। সেখানে কোনোভাবে আক্রান্ত হন বলে ধারণা করা হয়েছিল। কভিড বিদায় নেয়ার আগে মাঙ্কিপক্স দাপট দেখাতে শুরু করায় চিন্তায় পড়েছেন দেশগুলোর চিকিৎসকরা।
মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর আশঙ্কা ১০ শতাংশ। তবে এর ভাইরাস যেকোনো সময় চরিত্র বদলাতে পারে ধরে নিয়ে চিকিৎসকরা এখন থেকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকেও। নানা প্রান্ত থেকে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়ায় পর সংস্থাটি জরুরি বৈঠক ডাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এটি এক বিশেষ ধরনের বসন্ত রোগ। প্রাণীদেহের মাধ্যমে এই ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে, ইঁদুরের মাধ্যমে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়াতে পারে। মাঙ্কি পক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে বাড়তে পারে সংক্রমণের আশঙ্কা। শ্বাসনালি, দেহে তৈরি হওয়া কোনো ক্ষত, নাক কিংবা চোখের মাধ্যমেও অন্যের দেহে প্রবেশ করতে পারে ভাইরাস।