ঠাকুরগাঁওয়ে অতীতে তরমুজ চাষ বেশ জনপ্রিয় ছিল। কালক্রমে কমতে থাকে এর আবাদ। তবে সেই সুদিন যেন আবার ফিরে এসেছে। প্রচণ্ড গরমে স্বস্তিদায়ক রসাল ফলটির চাষ বেড়েছে জেলায়। অল্প সময়ের মধ্যে এটি পরিণত হয় লাভজনক ফসলে। কেননা এ তরমুজ চাষ করে অনেক কৃষকের ভাগ্যের দ্বার খুলেছে। এ ধারা বজায় রাখার জন্য পড়ন্ত মৌসুমে পীরগঞ্জ উপজেলার অনেক কৃষক মাচায় তরমুজ চাষ করছেন। এরই মধ্যে সফলতার মুখ দেখেছেন তারা। তাদের আবাদ দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন জেলার অন্যান্য অঞ্চলের কৃষকরাও।
মাচায় আগাম জাতের ব্ল্যাক বক্স ও সাগর কিং তরমুজ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন উপদইল গ্রামের গোলাম রব্বানী রুবেল। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো এ নতুন পদ্ধতিতে চাষ করে তিনগুণ বেশি লাভবান হয়েছেন তিনি।
আড়াই একর জমিতে তরমুজের চাষাবাদ ও আনুষঙ্গিক ব্যয়সহ সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ হয়েছে রুবেলের। এখান থেকে প্রায় ১৫ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন তিনি। অর্থাৎ তিনগুণের বেশি মুনাফা ঘরে তুলেছেন তিনি। এখনও মাচায় অনেক তরমুজ ঝুলছে, যা বিক্রি করে আরও অর্থ ঘরে তুলবেন তিনি।
স্থানীয় কৃষক আজম আলী, দবিরুল ইসলাম ও মহসীন আলী বলেন, এ নতুন পদ্ধতিতে আমরাও তরমুজ চাষের অনুপ্রেরণা পেয়েছি। মাচায় আগাম চাষে লাভবান হওয়া যাবে, তাই আমরা এবার এভাবে তরমুজ চাষ করব।
পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এসএম গোলাম সারোয়ার বলেন, অফ সিজনে মাচায় তরমুজ চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
শামসুল আলম, ঠাকুরগাঁও