শেয়ার বিজ ডেস্ক: মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার রোধে সরকারি-বেসরকারি সব সংস্থাকে মাদকমুক্ত সুস্থ সমাজ প্রতিষ্ঠায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আজ ২৬ জুন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।
মাদকবিরোধী জনসচেতনতা ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী চলমান প্রয়াসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশে ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস ২০২১’ পালনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান। সূত্র: বাসস।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হলেও বর্তমানে এদেশের যুবসমাজের মধ্যে মাদকাসক্তি এবং এর ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া প্রকট হয়ে উঠেছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সঙ্গে অবৈধ মাদক ব্যবসায় ও মাদকাসক্তির গভীর যোগসূত্র রয়েছে। মাদকদ্রব্য জনস্বাস্থ্য, শান্তি, শৃঙ্খলা, আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই মাদক নিয়ন্ত্রণে চলমান সব আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রয়াস এবং কার্যক্রমের সঙ্গে বাংলাদেশ একাত্মতা প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ মাদক নিয়ন্ত্রণের সব আন্তর্জাতিক কনভেনশনে স্বাক্ষরদাতা। এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সম্পাদন করেছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সংবিধানের ১৮ নং অনুচ্ছেদে মাদক নিয়ন্ত্রণের মূলনীতি বিধৃত আছে। এ মূলনীতি এবং আন্তর্জাতিক কনভেনশনসমূহের রূপরেখা বাস্তবায়নে ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন’ প্রণীত হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানের পাশাপাশি মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে দেশের সীমান্ত এবং উপকূলীয় এলাকায় সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা অত্যন্ত জরুরি।
তিনি আশা করেন, নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে দেশে মাদকদ্রব্যের বিস্তার রোধ সম্ভব হবে এবং দেশের যুবসমাজ সুন্দর ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, মাদকাসক্তি একটি বহুমুখী ও বহুমাত্রিক জটিল সমস্যা। কোনো একক সংস্থার পক্ষে যেমন এ জটিল সমস্যার মোকাবিলা সম্ভব নয়, তেমনি শুধু আইনের প্রয়োগ করেও এর নিরসন সম্ভব নয়। দেশের যুবসমাজকে মাদকের নীলদংশন থেকে রক্ষা করতে সমাজের সব স্তরে মাদকের কুফল সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করা প্রয়োজন। মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শক্ত পারিবারিক বন্ধন সন্তানকে মাদক ও জঙ্গিবাদের কুপ্রভাব থেকে দূরে রাখে, তাকে সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
রাষ্ট্রপতি ‘মাদকদ্রব্যের অব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবসের সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।