Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 8:48 pm

মাদকের মাধ্যমে বছরে পাচার ৫ হাজার কোটি টাকা, তদন্ত চেয়ে রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাদকের কারণে প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে বিদেশে পাচার হয়ে যায় ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। এই অর্থপাচারের বিষয়ে তদন্ত করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের শীর্ষ মাদক কারবারিদের তালিকা দাখিলের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের করেন। এতে অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইজিপি, এনবিআরকে বিবাদী করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার (১৪ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালকুদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানা গেছে।

গত ১১ জুন ‘মাদক ব্যবসার কারণে বছরে পাচার ৫ হাজার কোটি টাকা’ শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনগুলো সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশ থেকে মাদকের কারণে প্রতিবছর পাচার হয়ে যায় ৪৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। একই সঙ্গে মাদক কেনা-বেচা করে অর্থ পাচারের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে পঞ্চম। এশিয়ার দেশগুলো বিবেচনায় নিলে মাদকের মাধ্যমে টাকা পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ একেবারে শীর্ষে রয়েছে।

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাড তাদের ওয়েবসাইটে অবৈধ অর্থপ্রবাহ-সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৯টি দেশের মাদকসংশ্লিষ্ট অবৈধ অর্থপ্রবাহের অনুমানভিত্তিক হিসাব তুলে ধরেছে সংস্থাটি। বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশগুলো হলো- আফগানিস্তান, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, মিয়ানমার, নেপাল ও পেরু।

আঙ্কটাডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাদকের অবৈধ অর্থপ্রবাহের দিক থেকে বিশ্বে প্রথম অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। এরপর যথাক্রমে রয়েছে কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পেরু ও বাংলাদেশ। মাদক ও অপরাধ প্রতিরোধে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনওডিসির সহায়তায় এবং সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাদকের মাধ্যমে অবৈধ অর্থপ্রবাহের অনুমানভিত্তিক এই হিসাব করেছে আঙ্কটাড।

তালিকায় এশিয়ার যে পাঁচটি দেশের নাম রয়েছে, এর মধ্যে শীর্ষে থাকা বাংলাদেশের পরেই আছে মালদ্বীপ ও নেপাল। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছে আফগানিস্তান এবং মিয়ানমার।