নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত থেকে বিসিক প্রধান কার্যালয় (নতুন), মাদারীপুর বিসিক শিল্পনগরী (সম্প্রসারণ), বিটাকের কার্যক্রম শক্তিশালী করার লক্ষ্যে টেস্টিং সুবিধাসহ টুল ইনস্টিটিউট স্থাপন এবং বিএসইসি’র এলইডি লাইট (সিকেডি) অ্যাসেম্বিলিং প্ল্যান্ট স্থাপন শীর্ষক চারটি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
বিসিকের কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও উন্নত কর্ম পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে তেঁজগাও এলাকায় নির্মিত হয়েছে ১৪ তলাবিশিষ্ট বিসিক প্রধান কার্যালয়।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে বিসিকের মতিঝিলের অফিস ভবনের সব কার্যালয়সহ ঢাকার অন্য সব অফিস একই ভবনে স্থানান্তর এবং আঞ্চলিক কার্যালয় ও প্রকল্প অফিসগুলো একই ভবনে স্থানান্তরের মাধ্যমে ভাড়া বাবদ বছরে ৫০ লাখ টাকা সাশ্রয় হবে। প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত প্রায় ৫০০ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর জন্য অফিস কক্ষের সংস্থান হয়েছে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।
প্রধান কার্যালয়টি পরিবেশবান্ধব (সোলার সিস্টেম, রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং ব্যবস্থা রয়েছে)। দুটি বেজমেন্টে ৬৪টি গাড়ি পার্কিং সুবিধা ও চারটি প্যাসেঞ্জার লিফট রয়েছে। মাল্টিমিডিয়া সুবিধাসহ বিভিন্ন সভা-সেমিনার পরিচালনার জন্য চারটি কনফারেন্স কক্ষ রয়েছে। ভবনের নিচতলায় কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের জন্য তিন হাজার ৮৪১ বর্গফুট জায়গায় পণ্য প্রদর্শনীর সংস্থান করা হয়েছে। মাল্টিমিডিয়া ও আধুনিক সুবিধা-সংবলিত তিনটি প্রশিক্ষণ কক্ষ রয়েছে।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) ১৯৮৭ সালে মাদারীপুরে একটি শিল্পনগরী প্রতিষ্ঠা করে। এ শিল্পনগরীতে বর্তমানে ৯৩টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে তেলের মিল, বেকারি, আটা-ময়দা-সুজির কারখানা, পিভিসি পাইপ, ফার্নিচার ও অ্যালুমিনিয়াম কারখানা উল্লেখযোগ্য।
শিল্পোদ্যোক্তাদের ক্রমবর্ধমান চাহিদার ভিত্তিতে ২০১৪ সালে মাদারীপুরে আরও একটি শিল্পনগরী (মাদারীপুর বিসিক শিল্পনগরী সম্প্রসারণ) প্রকল্প নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্যÑপরিবেশসম্মত শিল্পনগরী নির্মাণের মাধ্যমে শিল্পপ্লটের চাহিদা পূরণ করা। নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য উপযুক্ত অবকাঠামো, যেমন ভূমি উন্নয়ন, রাস্তা, পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ, পয়োনিষ্কাশন প্রভৃতি সুযোগসুবিধা-সংবলিত ১৫৮টি প্লটে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ইউনিট নির্মাণ করা হবে। কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তাসহ জাতীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখাও এর অন্যতম লক্ষ্য।
প্রকল্পটিতে মোট শিল্পপ্লটের সংখ্যা ১৫৮টি। এতে সাত হাজার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রকল্পটিতে সম্ভাব্য শিল্প খাতগুলো হলোÑখাদ্য ও খাদ্যজাত সামগ্রী, বস্ত্র ও বস্ত্রজাত সামগ্রী, অটোমোবাইল সার্ভিসিং, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রিক্যাল সামগ্রী, সাইকেল ও মোটরসাইকেলের খুচরা যন্ত্রাংশ তৈরি, কাঠের আসবাবপত্র, স্টিলের আসবাব, গবাদি পশুর খাদ্য তৈরি প্রভৃতি।