শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো চীন সফর করছেন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। বেইজিং এবং পশ্চিমের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনার মধ্যে এই পদক্ষেপ দেশ দুটির মধ্যে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। খবর: ভয়েস অব আমেরিকা।
প্রসঙ্গত, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভারতের জি২০ সম্মেলনে যোগ দেননি। মাদুরোর সফরটি এই একই সময়ে শুরু হয়েছে। এর আগে মাদুরো ২০১৮ সালে শেষবার চীন সফর করেছিলেন। তখন তিনি বেইজিংয়ে শি’র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
জ্বালানি বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা এই সফরের মূল লক্ষ্য। চীন বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল আমদানিকারক। ভেনেজুয়েলায় অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বেশি মজুত রয়েছে।
কেপলারের তথ্য অনুযায়ী, ভেনেজুয়েলার তেলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও চীন গত বছর দেশটি থেকে প্রায় ২৮৩ মিলিয়ন ব্যারেল বা প্রায় ৩৮ দশমিক ৮ মিলিয়ন মেট্রিক টন অপরিশোধিত তেল আমদানি করেছে। ভেনেজুয়েলার বেশিরভাগ চালান মালয়েশিয়ার মতো তৃতীয় দেশের মাধ্যমে স্থানান্তর করা হয়।
চীনের গত বছর থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সরকারি শুল্ক তথ্যে দেখা যায়, ভেনেজুয়েলা থেকে কোনো অপরিশোধিত তেলের আমদানি তথ্যের উল্লেখ নেই।
ভেনেজুয়েলার সাবেক প্রেসিডেন্ট হুগো শ্যাভেজ ২০০৭ সালে ৫০ বিলিয়ন বা পাঁচ হাজার কোটি ডলারের তেল-ঋণ চুক্তির পরও ভেনেজুয়েলা চীনের কাছে ব্যাপকভাবে ঋণী। এর পর ২০২০ সালে মাদুরো প্রশাসন এবং চীনা ব্যাংকগুলো এই ঋণের প্রায় এক হাজার ৯০০ কোটি ডলারের জন্য গ্রেস পিরিয়ডের জন্য সম্মত হয়েছিল।
দুই বছর আগে ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউসের জেরার্ডো বার্থিন জানান, ভেনেজুয়েলায় চীনের বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার অনুমান অনুযায়ী, ২০০৭ সাল থেকে চীন ভেনেজুয়েলাকে প্রায় ৬৮ বিলিয়ন বা ছয় হাজার ৮০০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে।
