নিজস্ব প্রতিবেদক: নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নেপালের তদন্ত দল যে প্রাথমিক প্রতিবেদন দিয়েছে তাকে অসংগতিপূর্ণ বলে মনে করছে ইউএস-বাংলা কর্তৃপক্ষ।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ওই দুর্ঘটনা নিয়ে ইউএস-বাংলা আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এমনটি দাবি করা হয়। এ সময় এয়ারলাইনসটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ বলেন, প্রাথমিক প্রতিবেদনে যেসব বিষয় আসার দরকার ছিল তার সবকিছু ওই প্রতিবেদনে নেই। এতে অসংগতিপূর্ণ অনেক বিষয় রয়েছে।
প্রতিবেদনে কী অসংগতি রয়েছেÑসাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ বলেন, ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বিমান দুর্ঘটনার দুই মিনিটের মধ্যে উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে অগ্নিনির্বাপণ কাজ শুরু করেন, কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। যদি এমনটা হতো, তাহলে নিহত মানুষের সংখ্যা আরও কম হতো।
ওই বিমান দুর্ঘটনার প্রায় এক মাস পর গত ৯ এপ্রিল নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ প্রতিবেদনে বিধ্বস্ত বিমানটির কোনো কারিগরি ত্রুটি ছিল না বলে উল্লেখ করা হয়।
ইমরান আসিফ বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস বাংলাদেশের পরিচয়বহনকারী প্রতিষ্ঠান। সাময়িক দুর্ঘটনায় আমরা কিছুটা হতাশ হলেও ভেঙে পড়িনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিহত-আহত সব যাত্রীর বিমা প্রথম সারির আন্তর্জাতিক বিমা প্রতিষ্ঠান দিয়ে নিশ্চিত করা আছে। বিমা কোম্পানির সঙ্গে ইউএস-বাংলা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। নিহত ব্যক্তিদের উত্তরাধিকাররা আদালত থেকে উত্তরাধিকার সনদ দিলেই সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতিপূরণ পাবেন। আহত ব্যক্তিদেরও এক্ষেত্রে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
ইমরান আসিফ দাবি করেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বহরে থাকা বিমানের রক্ষণাবেক্ষণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। এজন্য কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের ১৭ প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করেন বলেও জানান তিনি।
এছাড়া ইউএস-বাংলায় ৬২ দেশীয় প্রকৌশলী কাজ করেন বলে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এয়ারলাইনসটি থেকে দাবি করা হয়Ñবাংলাদেশের আর কোনো বিমান সংস্থায় এত প্রকৌশলী নেই।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ড্যাশ এইট-৮ কিউ ৪০০ বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এতে ৬৭ যাত্রী, চার ক্রু-সহ মোট ৭১ জন ছিলেন। দুর্ঘটনায় ২৬ বাংলাদেশিসহ মোট ৫১ জন নিহত হন।

Print Date & Time : 26 June 2025 Thursday 12:23 am
মানতে নারাজ ইউএস-বাংলা
পত্রিকা ♦ প্রকাশ: