মানবতাবিরোধী অপরাধে সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড বহাল

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আমৃত্যু কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের দেওয়া আমৃত্যু কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ মৃত্যুদণ্ড আর খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন করেন সাঈদী। আবেদনের শুনানি শেষে আমৃত্যু কারাদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

গতকাল সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সাঈদীর মৃত্যুদণ্ডাদেশের সাজা কমিয়ে তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

আপিল বিভাগের ওই রায়ের পর ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি সাঈদীর সর্বোচ্চ শাস্তি (মৃত্যুদণ্ড) চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদন করে। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পাঁচ দিন পর (১৭ জানুয়ারি) শাস্তি থেকে খালাস চেয়ে রিভিউ আবেদন করেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। এর মাধ্যমে ৭৭ বছর বয়সী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলার বিচার প্রক্রিয়ার সব ধাপের সমাপ্তি ঘটলো এবং তার আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায়ই বহাল থাকলো। গত রবি ও সোমবার এ-সংক্রান্ত রিভিউ শুনানি হয়।

রিভিউ রায়ের পর সাঈদীর ছেলে মাসুদ-বিন-সাঈদী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘ন্যায়বিচার পেলাম না, ন্যায়বিচার হলো না। ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি, একদিনের সাজাও প্রাপ্য ছিল না।’ সাঈদীর পক্ষে রিভিউতে অংশ নেওয়া প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘যেহেতু সর্বোচ্চ আদালতের রায়, তাই ক্ষোভ-দুঃখ যাই থাকুক না কেন, রায় মেনে নিতে হবে।’ অপরদিকে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে

আলম তার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, সাঈদী দেশ, সভ্যতা ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর

ব্যক্তি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন এবং তদন্ত সংস্থার ব্যর্থতা ও দুর্বলতার কারণে সাঈদীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা যায়নি। তার সর্বোচ্চ শাস্তি না হওয়ায় আমি ব্যক্তিগতভাবে ব্যথিত।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০